ভোটের ফলঘোষণার পরেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। এমনই দাবি করলেন নীতীশের দল জেডিইউর নেতা কেসি ত্যাগী। ‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দলের অন্যতম শীর্ষনেতা ত্যাগী বলেন, “নীতীশ কুমার বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন।” তার পরেই কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবিরের নাম না করে ত্যাগীর কটাক্ষ, “যাঁরা এক সময় নীতীশকে ‘ইন্ডিয়া’র আহ্বায়ক হতে দেননি, তাঁরাই এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন।”
কেসি ত্যাগী জানান, নীতীশ কুমার প্রস্তাবটি বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং জেডিইউ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সাথেই অবস্থান করবে।
এবার বিজেপি একা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেনি, মাত্র ২৪০টি আসন পেয়েছে। ফলে, কেন্দ্রে সরকার গঠনে পদ্মশিবিরকে বেশিরভাগই নির্ভর করতে হচ্ছে এনডিএ-র দুই মিত্র দল জেডিইউ এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি-র উপর। নীতীশের দল এবার বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোট করে লড়াই করে ১২টি আসন জিতেছে।
অন্যদিকে, সমস্ত বুথফেরত জরিপের ফলাফলকে মিথ্যা প্রমাণ করে ‘ইন্ডিয়া’ দলটি ২৩৪টি আসন অর্জন করেছে। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন। এই পরিস্থিতিতে, যদি নীতীশ কুমার বা চন্দ্রবাবু নাইডু এনডিএ ছেড়ে ‘ইন্ডিয়া’ দলে যোগ দেন, তাহলে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এই দুই নেতা অতীতে বারবার দল পরিবর্তন করেছেন এবং তাঁদের রাজ্যের জন্য বিশেষ মর্যাদা এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দাবি জানিয়েছেন। তাই, এনডিএ-তে তাঁদের রাজনৈতিক মধুমাস কতদিন টিকবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশয় দেখা দিয়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে যে, মানুষের রায় এনডিএ’র পক্ষে নয়। এই কারণে তারা বিরোধী দলের আসনে বসবে। তবে, সঠিক সময় এবং পরিস্থিতির অপেক্ষায় রয়েছেন বলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে জানিয়েছেন।