জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বসলেন নির্মলা সীতারামন। কোন কোন পরিষেবায় জিএসটি ছাড়ের ঘোষণা করা হয়েছে জেনে নিন !
নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় মন্ত্রিসভায় নির্মলা সীতারামন পুনরায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। শনিবার তিনি জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে অংশ নেন, যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখযোগ্য হল, রেল পরিষেবায় জিএসটি ছাড়ের ঘোষণা এবং হস্টেল খরচ হ্রাসের সিদ্ধান্ত। জালিয়াতি প্রতিরোধে জিএসটি কাউন্সিল কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশব্যাপী বায়োমেট্রিক-নির্ভর আধার কার্ড যাচাই প্রক্রিয়া চালু করা হবে।
নয়াদিল্লিতে জিএসটি কাউন্সিলের ৫৩তম বৈঠকের পর তিনি বলেন, ভুয়ো ইনভয়েস প্রতিরোধে গোটা দেশে বায়োমেট্রিক-নির্ভর আধার কার্ড যাচাই প্রক্রিয়া চালু করা হবে, যা গুজরাত ও পুদুচেরিতে সফল পরীক্ষামূলক চালু হয়েছিল।
এছাড়াও, শনিবারের বৈঠকে আরও কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্মলা জানিয়েছেন, ভারতীয় রেলের সাধারণ যাত্রী পরিষেবাগুলি জিএসটির আওতার বাইরে থাকবে। রেলের প্ল্যাটফর্ম টিকিট, ওয়েটিং রুম, রিটায়ারিং রুম, ব্যাটারিচালিত গাড়ি পরিষেবার উপর জিএসটি ছাড় দেওয়া হয়েছে, যা রেলযাত্রীদের সুবিধা আনবে।
সম্প্রতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হস্টেল সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, যে সকল ছাত্রছাত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে হস্টেলে থাকেন বা ভবিষ্যতে থাকবেন, তাঁদের জন্য জিএসটি আরোপিত হবে না। এতদিন পর্যন্ত বাইরের হস্টেলে থাকার জন্য জিএসটি প্রদান করতে হতো। নতুন প্রস্তাব মেনে নিলে, তাঁদের আর জিএসটি দিতে হবে না। এছাড়া, কিছু পণ্যের জিএসটি হার কমানোর প্রস্তাবও রয়েছে। যেমন, সোলার কুকারের উপর জিএসটি হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করার প্রস্তাব রয়েছে। কার্টন বক্সের জন্যও জিএসটি হার কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, পেট্রল ও ডিজেলের উপর জিএসটি আরোপের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে পেট্রল ও ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনার কথা শোনা যাচ্ছে, কিন্তু এখনও তা বাস্তবায়িত হয়নি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি, তবে কেন্দ্রীয় সরকার চায় পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনতে।