মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষার দায়িত্ব নিয়ে আবার টাকার বিনিময়ে আসন বেচার পরিকল্পনা না তো ব্রাত্য বসুদের !
ভারতজুড়ে নিট বা সর্বভারতীয় অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা বাতিল করে পুনরায় রাজ্যস্তরের প্রবেশিকা চালুর দাবি নতুন নয়। এই দাবি প্রধানত দক্ষিণ ভারত, বিশেষত তামিলনাড়ু থেকে উঠে আসছিল। সম্প্রতি, বাংলা থেকেও একই দাবি উঠেছে। নিটে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্য জয়েন্ট প্রবেশিকা পুনরায় চালুর দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।
২০২৪ সালের নিট পরীক্ষায় ব্যাপক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এই বছর নিট পরীক্ষায় ৬৭ জন প্রথম স্থান অধিকার করেছে, যা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন ফাঁস এবং গ্রেস মার্কস দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। এই ইস্যুতে সারা দেশ সরব হয়েছে এবং ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ব্রাত্য বসু বলেছেন, কেন্দ্র হাজার হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।
এক অনুষ্ঠানে ব্রাত্য বলেন, “এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা। হাজার-হাজার পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। আমাদের রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে অনেক আলোচনা হল, অনেক টক শো হল, তদন্ত হল, গ্রেপ্তারও হল। কিন্তু কেন্দ্রের এই নিটে যা হল গোটা ভারত দেখছে। তার জন্য কোনও তদন্ত হবে না? সিবিআই ইডি মাঠে নামবে না? এই ব্যর্থতার পর আমার মনে হয় ওদেরই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে রাজ্যের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।”
২০১৯ সালের আগে বিভিন্ন রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশিকা পরীক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের হাতে ছিল। ২০১৯ সালে মোদি সরকার মেডিক্যালে অভিন্ন প্রবেশিকা চালু করে। দক্ষিণের রাজ্যগুলি তখন থেকেই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে আসছে। এবার বাংলাও সেই সুর চড়িয়েছে।
ব্রাত্য বসুর এই অবান্তর চাওয়াকে নিয়ে তৃণমূলকে তুলোধুনো করেছেন বিরোধীরা।বিরোধীদের বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেস শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে রাজ্যের সকল নিয়োগে ঠিক যেভাবে দোকান খুলে চাকরি বেচেছে,মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা রাজ্য সরকারের হাতে আসলে,টাকার বিনিময়ে ছাত্র ভর্তি করবে মেডিক্যাল কলেজগুলোতে,যা ভবিষ্যত চিকিৎসা ব্যবস্থাকে হুমকির মধ্যে নিয়ে যাবে ।