লোকসভায় সন্ত্রাসী হানা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী !
লোকসভায় সন্ত্রাসী হানার ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চার দিন পর দিলেন তাঁর কড়া প্রতিক্রিয়া। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, এই ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। সমস্যাটির গুরুত্ব বুঝে তার সমাধানের চেষ্টাও করা হচ্ছে।
দৈনিক জাগরণ পত্রিকায় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, সংসদে হানার ঘটনাটি গুরুতর। একে ক্ষুদ্র ঘটনা হিসাবে দেখা উচিত নয়। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছেন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ও তদন্তকারী সংস্থাগুলি সব দিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, শুধু তদন্ত নয়, কি কারণে এই ধরনের একটা ঘটনা ঘটল, কী কী করার পরিকল্পনা ছিল সে বিষয়গুলি জানা দরকার। এরপর সেগুলির সমাধান খোঁজা দরকার। সমাধান খুঁজতে হবে উন্মুক্ত মনে। এই ধরনের ঘটনায় অহেতুক বিতর্কে জড়ানোর প্রয়োজন নেই,এ নিয়ে কোনো রাজনীতি করা বা তদন্তে কোনও রকম বাধা সৃষ্টি করাও উচিত নয় বলে ওমানে করি।
গত বুধবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন গ্যালারি থেকে রং বোমা নিয়ে চেম্বারে ঝাঁপ দেন সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি নামে দুই যুবক। তা দিয়ে সভাকক্ষের চারদিকে ছড়িয়ে দেন হলুদ ধোঁয়া। সঙ্গে ‘তানশাহী নেহি চলেগা’ বলে স্লোগানও দেয় তারা। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ওই একই সময়ে সংসদের বাইরে থেকে গ্রেফতার হন নীলম কৌর এবং অমল শিন্ডে। তাঁরাও রংবোমা দিয়ে ধোঁয়া ছড়াচ্ছিলেন এবং স্লোগান দিচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পশ্চিমবাংলার নিবাসী ললিত ঝা দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। শনিবার ধরা পড়েন আরও এক অভিযুক্ত। তাঁর নাম মহেশ কুনাওয়াত। ধৃতদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে দিল্লির পাতিয়ালা আদালত।
বুধবার সংসদে হানার পর থেকে গোটা দেশে আলোড়ন তৈরি হলেও নীরব ছিলেন মোদী। এমনিতে তিনি সমাজমাধ্যমে বেশ সক্রিয়। কিন্তু তাঁকে এ বিষয়ে কিছু পোস্ট করতেও দেখা যায়নি। চার দিন পর অবশেষে তাঁর মত জানা গেল,দিলেন কড়া বার্তা।