মুসলিম মা বোনেরাও তৃণমূলের গুন্ডারাজকে উপড়ে ফেলতে মুখিয়ে আছে !কড়া বার্তা নরেন্দ্র মোদীর !
গত দেড় দশক ধরে সংখ্যালঘু ভোটের সিংহভাগই দখল করছে তৃণমূল।আর এটাই হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট রসায়নের প্রধান শক্তি।কিন্তু শুক্রবার আরামবাগের সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করলেন, এবারের লোকসভা ভোটে সেই ধারণাও এবার ভ্রান্ত প্রমাণিত করবে মুসলিমরা।
শুক্রবার আরামবাগের সভা থেকে এমনই ভবিষ্যদ্বাণী করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘড়ি ধরে আধ ঘণ্টার বক্তব্যের শেষ দিকে এই কথা বললেও শুরুতে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে আক্রমণ করতে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘মুসলিম তোষণের’ অভিযোগ তোলেন মোদী।
মোদী এই রাজ্যে মুসলিমরা লোকসভা নির্বাচনে কী করবেন, তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন।সেই সভায় প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, “তৃণমূলের অহঙ্কার হল, তাদের একটা নিশ্চিত ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। এবার তৃণমূলের সেই অহঙ্কার ঘুচবে। এবার মুসলিম মা বোনেরাও তৃণমূলের গুন্ডারাজকে উপড়ে ফেলতে এগিয়ে আসবে।” তিনি বলেন, ‘‘মুসলিম ভাইবোনেরা এ বার তৃণমূলকে শিক্ষা দেবে। তৃণমূলের বিদায়ের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে।’’
বর্তমানে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে সেই প্রসঙ্গ যে উঠে আসবে তা আগেই ধরে নেওয়া হয়েছিল এবং হয়েছেও তাই। সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচরের ঘটনা নিয়ে এদিনের সভায় ঝাঁঝালো আক্রমণ করেছেন , সেই সঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতির অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর বলেন , সন্দেশখলিতে কে নাটের গুরু তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ভাল করে চিনতো । কিন্তু কোনো একটি বিশেষ কারণেই তাকে ধরা হয়নি। কিছু লোকের ভোট সন্দেশখালির মহিলাদের লজ্জার থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বড় হয়ে গেছে।
শাহজাহান শেখের নাম না করে মোদী বলেন, ওই অভিযুক্ত দু’মাস ধরে যখন এই রাজ্যেই পলাতক ছিল, তখন কেউ না কেউ তাকে বাঁচাচ্ছিল! এর পরেও কি জবাব দেবেন না মমতা ব্যানার্জী ? সব চোট এবার ভোট দিয়েই জবাব হবে।
এই প্রসঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতাদের সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর কথায় গোটা দেশ সন্দেশখালির ঘটনা দেখতে পেল,তখন ‘ইন্ডিয়া ’ জোটের নেতারাই দেখতে পেলেন না! তাঁর কথায়, কাউকে কাউকে বলতে শুনেছি, ছাড়ো বাংলায় এসব চলতেই থাকে। এরপরেই জনগণের উদেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বাংলার অপমান নয় কি ? লোকসভা ভোটে এর জবাব দেবেন কিনা?
বাংলার সঙ্গে কেন্দ্রের বঞ্চনা,তৃণমূলের এই অভিযোগের জবাব কড়ায়গণ্ডায় দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।আরামবাগে বিজেপির সেই সভা থেকে বাংলায় শাসক দলের নেতামন্ত্রীদের দুর্নীতি নিয়ে ঝাঁঝালো সমালোচনা করেন মোদী। তিনি বলেন যে, বাংলায় এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে। আপনারা দেখেছেন, কি দেখেননি? এই দুর্নীতি বাংলার উন্নয়নে বাধা।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘গোটা দেশে চার কোটির বেশি লোককে পাকা ঘর দিয়েছি।‘ তারা ওই পাকা ঘরে দিওয়ালি করছেন, হোলি খেলছেন, দুর্গাপুজোও করছেন। বাংলার গরিবেরও সে অধিকার আছে কিনা সে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মমতার উদ্দেশ্যে।
মোদীর কথায়, বাংলা কচ্ছপের গতিতে চলছে। বাড়ি বাড়ি নলবাহিত জল দেওয়ার জন্য কেন্দ্র টাকা দিয়েছে। সেই টাকাতেও কাজ ধীরগতিতে এগোচ্ছে। যাদের জন্য আপনাদের বাড়িতে জল পৌঁচচ্ছে না, তাঁদের দানাপানি বন্ধ করে দেবেন আপনি।
হাজারো কোটি টাকার এমন আরও অনেক প্রকল্প যা কেন্দ্র অনুমোদন করে দিয়েছে, কিন্তু বাংলার তৃণমূল সরকারের কারণেই তা শুরু হচ্ছে না,চূড়ান্ত অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।একই সঙ্গে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল সরকারকে বলেন,যা চুরি করেছেন আপনারা সব ফেরত দিতে হবে এবং আমি তা ফেরত দিতে বাধ্য করবো,আপনাদের হুমকিতে আমি ভয় পাইনা।এটাই হলো বাংলার জনগণের কাছে মোদীর গ্যারান্টি !