কোচবিহারে দলদাস পুলিশের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে কালি লাগিয়ে দিল তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা!
কোচবিহারে বিজেপির রথ আটকে দিল পুলিশ, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির মুখে কালি ছেটানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার দুপুরে নিউ কোচবিহার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিজেপির রথ আটকে দেয় পুলিশ। আর পুলিশের সামনেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ছবিতে কালি ছেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে দিনভর সরগরম হয়ে উঠল কোচবিহারের রাজনীতি।
এদিন একটি রথযাত্রা গাড়ি, নিউ কোচবিহার স্টেশন থেকে কোচবিহার শহরের দিকে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল সেই সময়েই পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা উপস্থিত থেকে সেই রথযাত্রা গাড়িকে আটকে দেয়। পাশাপাশি সেখানে দ্রুত ছুটে আসে প্রচুর তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। বিজেপির বিরুদ্ধে লাগাতার স্লোগান দিতে থাকে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। এমনকি হাতে কালি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবিতে কালী মেখে দেয় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা পুলিশের সামনেই। এই ঘটনার পরেই সেখানে পরিস্থিতি অনেকটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেখানে উপস্থিত পুলিশের কর্তারা দ্রুত তৃণমূল কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয় ।
উল্লেখ্য, এদিন সকালে কোচবিহার শহরে জেলা বিজেপির কার্যালয় থেকে বিজেপির রথ শুরু হওয়ার কথা ছিল। মূলত প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন রকম জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরবার লক্ষ্যে সেই রথযাত্রা শহরে বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার করবে। কিন্তু সেই যাত্রা শুরু হওয়ার আগেই কোচবিহার জেলা বিজেপির কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলের নেতাকর্মী সমর্থকরা জেলা সভাপতি অভিজিত দে ভৌমিকের নেতৃত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। যার জেরে সেই রথযাত্রা বের হতে পারেনি।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, রাজ্যের মানুষকে ভাতে মারবার চেষ্টা করছে বিজেপি আর এখানে রথযাত্রা বের করবে তা হতে পারেনা। ১০০ দিনের কাজের টাকা আবাস যোজনা টাকা বন্ধ। কেন সে টাকা বন্ধ বিজেপি জবাব দিক। বিজেপির জেলা সভাপতি বিধায়করা তৃণমূলের ভয়ে পালিয়েছে বলেও তিনি কটাক্ষ করেন। পাল্টা বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, এই যাত্রা পুলিশের অনুমোদন পাইনি আমরা তাছাড়া তৃণমূলের কর্মীদের রাস্তা অবরোধ থাকার কারণে তারা ঢুকতে পারেনি দলীয় কার্যালয় সেই কারণে এদিনের কর্মসূচির স্থগিত রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান।