‘ইডির বাজেয়াপ্ত করা টাকা গরিবদের মাঝে বিতরণ করে দিতে চাই’, ভোটের মধ্যেই ‘কল্পতরু’ প্রধানমন্ত্রী মোদী !
প্রতিজন নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যা ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘোষিত হয়েছিল। বিদেশি ব্যাঙ্কে জমা দেশের কালো টাকা ফেরত আনার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনও তা পূরণ করেননি। সম্প্রতি তিনি একটি নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেখানে তিনি বলেছেন যে তাঁর সরকার আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডি দ্বারা বাজেয়াপ্ত টাকা কীভাবে জনগণের কাছে পৌঁছানো যায় তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে।
একটি অখিল ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদিকে এই সম্ভাবনার কথা বলতে শোনা গেছে। তিনি বলেন, “আমি এই বিষয়ে চিন্তা করছি। কারণ আমি মন থেকে চাই যে গরিবের টাকা যা এরা নিজেদের ক্ষমতা অপব্যবহার করে লুঠ করেছে, সেটা তাদের কাছে ফেরত দিতে। যদি কোনো আইনি পথ থাকে তবে আমি তা অবশ্যই করব। বর্তমানে আমি আইনজীবীদের সাথে আলোচনা করছি এবং বিচার ব্যবস্থার কাছে প্রশ্ন রেখেছি যে ওই টাকাগুলোর ভবিষ্যৎ কী হতে পারে, সে সম্পর্কে পরামর্শ চাইছি।”
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, দেশের নতুন ন্যায় সংহিতায় এই বিষয়ে একটি সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, আর্থিক দুর্নীতির মামলাগুলিতে মোট ১.২৫ লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে জমা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলা, কেরল, এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের চাকরির বিনিময়ে জমি সংক্রান্ত দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলেছেন।
মোদির দাবি অনুযায়ী, কংগ্রেসের শাসনকালে ইডি প্রায় নিষ্ক্রিয় ছিল। তবে, ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইডি সক্রিয় হয়ে ওঠে। সম্প্রতি, সুপ্রিম কোর্ট ইডির ক্ষমতা সীমিত করেছে। এখন, আর্থিক তছরুপের মামলায় বিশেষ আদালতের হস্তক্ষেপ হলে, ইডি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। বিচারাধীন ব্যক্তিকে হেফাজতে নিতে গেলে বিশেষ আদালতের অনুমতি প্রয়োজন হবে, এরপরেই আটক বা গ্রেপ্তারের প্রশ্ন আসবে।