শপথ শেষে কী কী পদ দিয়ে ভোজ সারবেন রাষ্ট্রপতি ভবনের নৈশভোজে আমন্ত্রিত ৮ হাজার অতিথি!
নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বারের মতো মসনদে বসলেন। শক্তি কিছুটা হ্রাস পেলেও, তাঁর শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানের জৌলুসে কোনো ভাটা পড়েনি। রবিবার সন্ধ্যায় রাইসিনা হিলসে উপস্থিত ছিল এক জমকালো ভিড়। আসরে ছিলেন কিং খান থেকে আদানি-আম্বানি পর্যন্ত। সেখানে সাতটি দেশের প্রধানরাও উপস্থিত ।
রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনের চত্বরে প্রধানমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের মতো শপথ নেবেন মোদী। তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরাও একই সঙ্গে শপথ নেবেন। শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানের পর, এনডিএ’র সাংসদদের জন্য একটি ভোজসভার আয়োজন করা হয়েছে। এএনআই জানিয়েছে, সেই ভোজসভায় কী কী পদ থাকবে।
মোদি এবং ৭১ জন মন্ত্রীর শপথ গ্রহণের পর, রাষ্ট্রপতি ভবনেই এক নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। এর আয়োজক ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। অনেকেই এই নৈশভোজে আমন্ত্রিত হয়েছেন। খবর অনুযায়ী, নৈশভোজে ছিল চমৎকার সব আয়োজন। মেনুতে ছিল হাজার ধরনের নিরামিষ খাবার এবং মিষ্টি। দিল্লির তীব্র গরমের মধ্যেও, মেনুতে বিভিন্ন ধরনের ‘ঠান্ডাই’ রাখা হয়েছিল। বাংলার বিখ্যাত মিষ্টি যেমন রসমালাই এবং ছানার মিষ্টি মেনুতে বাদ যায়নি।
দেশি ও বিদেশি অতিথিদের নিয়ে প্রায় ৮ হাজার জন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছেন। রাইসিনা হিলসের নৈশভোজেও তাঁরা আমন্ত্রিত। এই কারণে, খাবারের মেনু অত্যন্ত আকর্ষণীয় হতে হবে। মেনু সাজানো হয়েছে এই মুহূর্তের দিল্লির প্রচণ্ড গরমের সাথে মিল রেখে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নৈশভোজের খাদ্য তালিকায় রয়েছে নানা ধরনের ফলের রস, পুর ভরা লিচু, মটকা কুলফি, আমের ক্রিম, এবং তিন ধরনের রায়তা। গরমের সাথে মানানসই এই পদগুলি ভোজসভায় থাকবে।
মেন কোর্সে নানা ধরনের খাবার থাকবে। পাঞ্জাবি এবং রাজস্থানি ডিশ অতিথিদের জন্য পরিবেশন করা হবে। দম বিরিয়ানি, যোধপুরী সবজি, ডাল, পাঁচ প্রকারের রুটি, পরোটা থাকবে। বাজরার খিচুড়িও থাকছে। গত বছর দ্বিতীয় মোদি সরকার জোয়ার-বাজরা মতো রবি শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিল। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এই খাবারগুলোকে বিশেষভাবে প্রদর্শন করা হয়েছিল। তাই এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বাজরার খিচুড়ি রাখা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
ডেজার্ট বা মিষ্টি পদের বৈচিত্র্য কম নয়। খবর অনুযায়ী, শেষ পাতে অন্তত আট ধরনের মিষ্টি থাকবে। এর মধ্যে বাংলার রসমালাই অতিথিদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হবে। ওড়িশার ছানার মিষ্টি এবং রাজস্থানের ঘেওরের নানা পদও থাকবে। দেশি ও বিদেশি অতিথিরা সকলেই তাদের পছন্দমতো পদ দিয়ে নৈশভোজ উপভোগ করবেন।