এবার প্রাণনাশের হুমকি এল প্রবীণ অভিনেতা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর কাছে!
বলিউড অভিনেতাদের হত্যার হুমকি আসছে ক্রমাগত। গত দু’মাসে পর পর হুমকি পেয়েছেন সলমন খান।এমনকি শাহরুখ খানকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ বার প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হল প্রবীণ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে। অভিযোগ, পাকিস্তান থেকে শাহাজ়াদা ভাট্টি নামের এক গ্যাংস্টার ভিডিয়ো বার্তায় হুমকি দিয়েছে অভিনেতাকে। তাকে সরাসরি হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। দাবি , সম্প্রতি মিঠুনের মন্তব্যে মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগ আঘাত লেগেছে। তারই বদলা নিতে হত্যার হুমকি। ভিডিয়ো বার্তায় অভিনেতা মিঠুনকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে মিঠুনকে। না হলে তাঁর প্রাণনাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্প্রতি কলকাতায় বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২৭ অক্টোবর সল্টলেকের ইজেডসিসিতে এই কর্মসূচির একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর একটি ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেন। বিজেপির সভায় হুমায়ুনের ওই বক্তব্য উল্লেখ করে মিঠুন বলেন, “আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনেই বলছি, যা করতে হবে সব করব। এই সব কিছুর মধ্যে অনেক অর্থ নিহিত আছে। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ৭০ শতাংশ মুসলিম, ৩০ শতাংশ হিন্দু। হিন্দুদের কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। ভেবেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কিছু বলবেন, এমন কথা না বলার জন্য বলবেন। কিন্তু কিছু হয়নি। আমি মুখ্যমন্ত্রী নই, তবে বলে রাখছি, ভাগীরথী নদী আমাদের মা। তাই ভাগীরথীতে কেটে ভাসিয়ে দেব না। কিন্তু তোমার মাটিতেই তোমাকে পুঁতে দেব।”
একজন প্রবীণ অভিনেতা ভোটারদের মধ্যে হিন্দু-মুসলিম বিষয়ক মন্তব্য করেছেন, বলেছেন, “এই কথাগুলো অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলছেন না, বরং ১৯৬৮ সালের ২৮ বছর বয়সী মিঠুন বলছেন। আমি রাজনীতি করেছি, রক্তের রাজনীতি করেছি। আমি সব জানি, কে কোথা থেকে কী করবে। আমি আপনাদের পাশে চাই, সাহস চাই। বুক চিতিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।” এই মন্তব্যের ফলে শহরের বেশ কিছু থানায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। জোড়াসাঁকো এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা এবং বৌবাজার থানায় এক ব্যক্তি মিঠুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতেও তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। এখন পাকিস্তান থেকে একটি হুমকি ভিডিয়ো পাওয়া গেছে। অভিনেতার প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা সময় বলবে।