বাংলাদেশ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা, কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তার সঙ্গে একমত।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশেষে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হওয়া নির্যাতনের বিষয়ে কথা বলেছেন। বিধানসভায় বৃহস্পতিবার তিনি জানান, বাংলাদেশ সম্পর্কিত কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতি তার সমর্থন রয়েছে এবং এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের কোনো ক্ষমতা নেই বলেও উল্লেখ করেন।এ বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই। কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা তার সাথে একমত।
বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের বিরোধী তাণ্ডবের সময়, ২১ জুলাইয়ের এক সভা থেকে মমতা বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারি না, সেটা একটি স্বাধীন দেশ। যা বলার ভারত সরকার বলবে। তবে যদি কোনও অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় আসে, তাহলে আমরা আশ্রয় দেব, কারণ রাষ্ট্রসঙ্ঘের অঙ্গীকার অনুযায়ী, উদ্বাস্তুদের প্রতিবেশী অঞ্চলগুলো সম্মান জানাবে।’
প্রশ্ন উঠেছে, যদিও হিন্দুদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের দায়িত্ব কেন্দ্রের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তবুও মমতা কেন স্বেচ্ছায় উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেওয়ার দায়িত্ব নিজের উপর নিয়েছিলেন? উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কি রাজ্য সরকারের আছে? নাকি হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খুললে ভোট ব্যাঙ্ক প্রভাবিত হতে পারে বলে এই আশঙ্কায় এখন তিনি বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করছেন?
সোমবার রাজ্য বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশন আরম্ভ হয়েছে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন এবং তারপর দমদম বিমানবন্দরে পাড়ি দেন। ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে জেএমএম জোট সরকার সম্প্রতি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ক্ষমতায় ফিরেছে। বৃহস্পতিবার হেমন্তের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান রয়েছে, যেখানে মমতা যোগ দেবেন। তিনি রাতেই কলকাতায় ফিরবেন।