পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম বিবেচনা করা হয়েছে। এরপরেই রাজনীতিতে আসার ইঙ্গিত দিলেন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম মঠের অধ্যক্ষ প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ ওরফে কার্তিক মহারাজ। রবিবার বেলডাঙার আশ্রমে তিনি বলেন, “ভারতের রাজনীতির যা অবস্থা, তাতে সন্ন্যাসীদের রাজনীতিতে আসার সময় হয়েছে।” কার্তিক কোনও দলের নাম না করলেও বলেন,যে দল ভারতের গণতন্ত্র রক্ষা করবে, সনাতনীদের পাশে থাকবে, তাদের পাশেই থাকব।”
কার্তিক মহারাজ বলেন, “সন্ন্যাসীদের অনেকে পিছন থেকে রাজনীতি করছেন। রাজনীতি হল সব চেয়ে বড় নীতি। কিন্তু এখন রাজনীতি নোংরা হয়ে গিয়েছে। একজন বলছেন ৭০ শতাংশ। কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। একজন বলছেন সংখ্যা বাড়াও। সনাতনীদের রক্ষা করার জন্য সন্ন্যাসীদের রাজনীতিতে আসার সময় হয়েছে। তবে যে দল দেশের সংবিধান রক্ষা করবে, সনাতনীদের পাশে দাঁড়াবে, আমি তাদের পাশে থাকব।”
গত বছরসভা নির্বাচনের সময় উত্তপ্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর এল। প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই গন্ডগোলের জন্য আঙুল তুলেছিলেন বহরমপুরের সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজের দিকে। প্রসঙ্গত, এবার পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে মোট ১১৩ জনকে। তাঁদের মধ্যে বাংলার রয়েছেন কার্তিক মহারাজ-সহ ৯ জন। পদ্ম পুরস্কার পাওয়ার খবর পেয়ে কার্তিক মহারাজ বলেন, “আমি সন্ন্যাসী মানুষ। মানুষের সেবাই বড় পুরস্কার।এই স্বীকৃতি দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল।”
কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে সরাসরি বিজেপির হয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা। কার্তিক মহারাজ অভিযোগ করেন যে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও সত্যতা ছিল না । নির্বাচনী প্রচারে এ রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুসলিম কট্টরপন্থীদের চাপে ভোট পেতে সাধুদের ও মহান সংগঠনিকে গিগালাজ করছেন। সাধুসন্ত সমাজকে অপমান করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে কার্তিক মহারাজ কলকাতায় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সাধু-সন্ন্যাসীদের নিয়ে খালি পায়ে হেঁটেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের পরে কার্তিক মহারাজের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।আর এবার তিনি সরাসরি বিজেপিতে যোগ দেয়ার ইঙ্গিত দিলেন।