কোথা থেকে চাকরি দেবে পন্ডিতগুলো!বিস্ফোরক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ সোমবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে SLST চাকরি প্রার্থীদের বৈঠক আছে। সেই বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে,কী ফলাফল হবে সেই বৈঠকে।
এদিকে এই বৈঠক নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷
কয়েক বছর ধরে রাজ্যে শিক্ষক পদে নিয়োগ নেই। এদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ভয়াবহ ছবি ধরা পড়েছে৷ কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে,অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ টি টাকা তুলে নিয়োগ করা হয়েছে।মমতা ব্যানার্জীর পুরো শিক্ষা দপ্তর আজ জেলে। চাকরিপ্রার্থীরা এখনও চাকরি পাননি৷ তারা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন। ১০০০ দিনে পেরলো তাদের আন্দোলন।
কিন্তু এমন কী বললেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়?
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য চাকরির প্যানেলের মেয়াদ এক বছর পর্যন্ত থাকে। সেই মেয়াদ পেরিয়ে গেলে আর চাকরি পাওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন , পুরনো প্যানেলের আর এখন আইনি বৈধতাই নেই। চাকরি পাওয়ার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? আদালতও এই নিয়ম বদল করতে পারবে না। এমনই দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ। যারা পাশে থাকছেন, তারা বড় পণ্ডিত। এমন কটাক্ষ বললেন কল্যাণ।আর এই বক্তব্যের পরেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রবল জল্পনা।
যদিও এর আগে এমন কথা কারোর কাজ থেকে শোনা যায়নি। চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবীরাও এই বিষয় নিয়ে আগে কথা বলেননি। কিন্তু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা আইন মতে সঠিক হলেই বা কী হবে!
শনিবার চাপে পড়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যে গিয়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ তার কাছে শুরুতে বিক্ষোভ দেখান চাকরি প্রার্থীরা,তোলেন চোর চোর স্লোগান,জুতোও ছুঁড়ে মারেন কুনালের দিকে। এরপর তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কুণাল তাদের মধ্যে বসেছিলেনএবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে ফোন করেছিলেন কুণাল।কিন্তু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা যদি আইন অনুযায়ী হয় তাহলে কি এই আন্দোলনকে আবার ঝুলিয়ে দিতেই কুনাল ঘোষ আর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই আলোচনার প্রস্তাব দিলেন চাকরিপ্রার্থীদের।
সোমবার চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে কোনও রাস্তা কি বেরিয়ে আসবে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে আছে চাকরিপ্রার্থীরা !