‘অনেক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছি’ ইডির দাবির পরেও তদন্তের গতি সম্পর্কে কি প্রশ্ন বিচারপতি অমৃতা সিনহার !
প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় অনেক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে কলকাতা হাই কোর্টে দাবি করেছেন ইডি। বুধবার, বিচারপতি অমৃতা সিনহা -এর বেঞ্চে, সিবিআই ও ইডির আইনজীবী, ধীরাজ ত্রিবেদী দাবি করেন, ‘‘আমরা অনেক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছি’’। সিবিআই-ইডির আইনজীবীর জবাবের পরেও, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের গতি সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সিনহা । তিনি জানতে চান, কেন দু’মাস পরেও কন্ঠস্বরের নমুনার ফরেন্সিক রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
সেই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি প্রসঙ্গে সিবিআই ও ইডির আইনজীবী, ধীরাজ ত্রিবেদীর মন্তব্য, ‘‘কখনওই শেষ না হওয়ার উৎস।’’ প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আরও সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সিনহাকে জানিয়েছিলেন ধীরাজ। কেন্দ্রীয় সংস্থার ওই দাবি শুনে বিচারপতি সিনহা কার্যত ধীরাজকে ভর্ৎসনা করেন। প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত তদন্তের ‘শ্লথ’ গতির প্রশ্ন তোলেন। এর পাশাপাশি, মামলার পরবর্তী শুনানিতে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট পেশের নির্দেশনা দেন।
বুধবার ছিল সেই ‘পরবর্তী শুনানি’র দিন। ধীরাজ শুনানির শুরুতেই বিচারপতি সিনহাকে বলেন, “তদন্তে যে সমস্ত নাম উঠে এসেছে, আমি সেগুলি উচ্চারণ করছি না।” বিচারপতি সিনহা উত্তর দেন, “ঠিক আছে। উল্লেখ করা অনাবশ্যক। টাকার উৎস খুঁজে বের করেছেন?”
ইডির আইনজীবী তখন বলেন, “একটির সাথে অন্যটি যুক্ত। প্যান্ডোরার বাক্স খুলে গেছে। একটি খুললে, অন্যান্য তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। অন্যটি খুললে, আরো তথ্য বেরিয়ে আসছে। সিবিআই অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাম উদ্ধার করেছে।”
এরপর হাই কোর্টের পূর্ববর্তী নির্দেশনা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী বলেন, “আমরা কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছি। বিতর্ক এড়াতে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাই না।” নিয়োগ তদন্তের সূত্রে আরো দুর্নীতির সন্ধান মিলেছে, এবং তিনি আরো বলেন, “এসএসসি’র দুর্নীতি অনুসন্ধানের সময়, পৌরসভায় দুর্নীতির প্রমাণ মিলে। এরপর, রেশনের দুর্নীতির সাথেও যোগাযোগের প্রমাণাদি পাওয়া গিয়েছে।”
কিন্তু সিবিআই-ইডির আইনজীবীর এই উত্তরের পরেও, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের গতি সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সিনহা । তিনি বলেন, “কন্ঠস্বরের নমুনা গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু দু’মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও, কেন সিএফএসএল (কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক গবেষণা প্রয়োগাশালা) থেকে রিপোর্ট আসেনি? খোঁজ নিন, এতো দিনে রিপোর্ট কেন আসেনি।”