মা মাটি মানুষের সরকার এই তদন্ত আটকাতে কত টাকা আদালতে খরচ করেছে আমি জানতে চাই: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়
সন্দেশখালিতে ইডি (ED)আধিকারিকদের ‘বাধা দেওয়া’ এবং তাদের উপর ‘হামলা’র ঘটনায় মুখ খুললেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) । শুক্রবার এই বিষয়ে বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। পুরো ঘটনা তিনি বিচারপতির সামনে বর্ণনা করেন। সব শুনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জানতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরে তিনি বলেন, তদন্তকারী সংস্থা আক্রান্ত হলে কী ভাবে তদন্ত হবে? রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না !
সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটর জেনারেলের উদ্দেশে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “খবর পেলাম আপনাদের লোকেদের মেরেছে সন্ত্রাসীরা । আপনারা কী করছিলেন? ওদের সঙ্গে গুলি-বন্দুক থাকে না? চালাতে পারে না? বিচারপতি আরও বলেন, দু’জন অফিসারকে মেরেছে,আরও ২০০ জনকে পাঠান।
এদিন রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে যাওয়া ইডি আধিকারিকদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরও আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। খবর সংগ্রহের কাজে গিয়ে পার পায়নি সংবাদমাধ্যমও। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, রাজ্যে কোনও আইনশৃঙ্খলা আছে বলে আপনার মনে হয়?’ সেই সুরেরই অনুরণন শোনা গেল রাতেও। বলেন, পরিকল্পনা না করলে এভাবে আক্রমণ করা যায় না– নিশ্চয়ই তদন্তে উঠে আসবে।
ইডির তরফে এদিনের হামলা নিয়ে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোট ২৭ জন সদস্যের উপর প্রায় ৮০০ জন চড়াও হয়েছিল। এরা কারা? এই নিয়েও সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ‘মা মাটি মানুষের সরকার এই তদন্ত আটকাতে কত টাকা আদালতে খরচ করেছে আমি জানতে চাই।’ সঙ্গে সংযোজন, ‘আমি মনে করি, সময় এসে গিয়েছে এই স্টেটে কনস্টিটিউশাল মেশিনারি ভেঙে পড়েছে।’ তবে তাঁর বিশ্বাস, এই ঘটনায় পোড়খাওয়া অফিসারদের মনোবল ভাঙা যাবে না। বরং তা বাড়বে।
ইডি যাঁর কাছে গিয়েছিল, আশা করব তিনি রাত ১২টার মধ্যে ইডির কাছে হাজিরা দেবেন। এটা আমার আশা’, সন্দেশখালির ঘটনা ঘিরে বাংলা যখন তোলপাড়, তখন এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) । সঙ্গে সংযোজন করেন , ‘বাড়িতে শাহাজাহানকে তো পাওয়া যায়নি। তিনি এতই সাহসী যে ইডির ভয়ে কোথায় চলে গিয়েছিলেন। সেই বীরপুরুষ ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন, এটা আমার আশা !
তৃণমূল অবশ্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য নিয়ে তাঁর তীব্র সমালোচনা করেছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন, তা আপত্তিকর এবং এক্তিয়ার বহির্ভূত। বিচারপতির চেয়ারকে উনি অপমান করছেন। ওনার উচিত চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আসা। না হলে প্রধান বিচারপতির উচিত ওনাকে সতর্ক করা।