যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাশ হলো ওয়াকফ বিল। গত আগস্টে যে বিল পেশ করা হয়েছিল, তাতে কমিটি ১৪টি সংশোধনী প্রস্তাব করেছে।
বিরোধী সাংসদদের আপত্তি উপেক্ষা করেই ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের নতুন খসড়া অনুমোদন করেছে যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC)। তবে বিজেপি এবং তাদের সহযোগী দলগুলির সাংসদরা যে সংশোধনী প্রস্তাবগুলি জমা দিয়েছিলেন, তার মধ্যে ১৪টি গৃহীত হয়েছে বলে কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল জানিয়েছেন।
গত বছর আগস্ট মাসে পেশ হয় ওয়াকফ বিল। এই নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধীদের দাবি মেনে যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়েছিল। প্রাথমিক ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল শীতকালীন অধিবেশনের সপ্তাহেই। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমার রিপোর্ট দিতে না পারায় কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। বাজেট অধিবেশনের শেষ পর্যন্ত কমিটিকে সময় দেওয়া হয়। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ১৪টি সংশোধনীসহ ওয়াকফ বিলকে সবুজ সংকেত দিল কমিটি।
সংসদের দুই কক্ষে পাশ হওয়ার পরে ওই বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিললে ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের নতুন নাম হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’। বৈঠক শেষে জগদম্বিকা বলেন, ‘‘বিলের প্রতিটি ধারা (৪৪ সংশোধনী) ধরে পর্যালোচনা করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনেই সিদ্ধান্ত হচ্ছে। ১৪টি সংশোধনীসহ বিল পেশ করার জন্য সরকারের কাছে জেপিসি সুপারিশ করবে।’’ সরকারপক্ষের তরফে ২৩ এবং বিরোধীদের তরফে ৪৪টি সংশোধনী প্রস্তাব কমিটিতে জমা পড়েছিল বলে তিনি জানান।
শুক্রবার এবং শনিবার কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল জেপিসির শেষ বৈঠক ডেকেছিলেন তবে সেই বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বৈঠকের শুরুতেই বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির নিশিকান্ত দুবে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, জেপিসির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বড্ড বেশি তাড়াহুড়ো করছেন। এ নিয়ে এখনও বহু আলোচনার প্রয়োজন আছে এবং বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলা দরকার। বিশৃঙ্খলার জেরে ১০ বিরোধী সাংসদকে শুক্রবারের জন্য সাসপেন্ড করা হয়।
সূত্রের খবর, ১৪টি সংশোধনী নিয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারি পুনরায় ভোটাভুটি হবে। ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ পারে কমিটি।