মমতা পর বেসুরো নীতীশ, মুখে মোদী বন্দনা,অন্ধকারে ‘INDIA’জোটের ভবিষ্যৎ?
কংগ্রেসের সঙ্গে আর জোট নয়। লোকসভায় (Lok Sabha Elections 2024) ‘একলা চলো’র বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । AAP প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালও একই পথের যাত্রী।এবার বেসুরো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও (Nitish Kumar) । নাম না করে পরিবারতন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসকে (Congress) তোপ দাগলেন তিনি। সব মিলিয়ে INDIA জোটের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বুধবার পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক সভায় রওনা হওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস একাই লড়বে। যা হওয়ার তা ভোটের পরে দেখা যাবে। শুধু তা-ই নয়, তৃণমূলনেত্রী জানান, রাহুল গান্ধী যে বাংলায় আসছেন, সেটাও সৌজন্য দেখিয়ে তাঁকে জানানো হয়নি। যদিও এর আগে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে দাবি করেছিলেন, ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার আমন্ত্রণ ‘ইন্ডিয়া’র সমস্ত শরিকদলকেই জানানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুধবারের এই মন্তব্যের পরে কংগ্রেসের সঙ্গে পঞ্জাবের জোটের বিষয়ে অন্য সুর শোনা গিয়েছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গলায়।মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও (Nitish Kumar)। নাম না করে পরিবারতন্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসকে (Congress) তোপ দাগলেন তিনি। এইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গেল নীতীশকে।
মঙ্গলবার বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারতরত্ন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। এর পরেই বিহারের রাজনৈতিক হাওয়া জটিল আকার ধারণ করে। বুধবার পাটনার একটি সভায় দাঁড়িয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কর্পূরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন দেওয়ার বিষয়ে কংগ্রেসের ইউপিএ সরকারকে একাধিকবার আবেদন করেছিলেন। যদিও তা মানা হয়নি। এইসঙ্গে নাম না করে পরিবারতন্ত্র নিয়েও কংগ্রেসকে তোপ দাগেন তিনি। এর পরেই কর্পূরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গেল নীতীশকে।
কর্পূরী ঠাকুরের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি সভার আয়োজন করেছিল জেডিইউ (JDU)। সেখানে নিজের ভাষণে নীতীশ কুমার বলেন,২০০৫ সালে ক্ষমতায় আসায় পর থেকেই আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে (ভারতরত্নের) আবেদন করে আসছি। শেষ পর্যন্ত বর্তমান সরকার সেই আবেদনে সাড়া দিল। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, কর্পূরী ঠাকুরের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলাদ সভা করেছে লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডিও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের বক্তব্য, কংগ্রেস নয়, এদিন লালুর দলকেই পরিবারতন্ত্র নিয়ে তোপ দেগেছেন নীতীশ কুমার।