শুভেন্দুর পর হিরণের আপ্ত সহায়কের বাড়িতে হানা পুলিশের,বিজেপি প্রার্থীকে পুলিশ দিয়ে হেনস্থার চেষ্টা !
বিধান সভার বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়া করা গেস্ট হাউসে হঠাৎ পুলিশি অভিযানের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই, এবার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তমঘ্ন দে-র খড়গপুরের বাসভবনে পুলিশ তল্লাশি চালায়। সংবাদ পেয়ে রাতেই হিরণ সেখানে পৌঁছান।
খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার দের রাতে খড়গপুরের তালবাগিচা এলাকায় হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের পিএ তমঘ্নর বাড়িতে পুলিশ পৌঁছেছে। সেখানে পুলিশের সাথে তাঁর বাকবিতণ্ডা হতে দেখা গেছে। বিজেপি প্রার্থী দাবি করেছেন, পুলিশ কেন এই অভিযান চালাচ্ছে তা তাঁকে জানানো হয়নি, এবং তল্লাশির জন্য কোনো কাগজপত্রও সঙ্গে আনা হয়নি। ঘটনাস্থলে হিরণ বলেন, “তদন্তের জন্য কোনো কাগজ দেখানো হচ্ছে না, মনে হচ্ছে যেন পাকিস্তান থেকে জঙ্গি এসেছে। আমার পিএ-র বাড়িতে রাত সাড়ে তিনটের সময় পুলিশ তদন্ত করতে এসেছে, যখন তমঘ্নর মা হার্টের রোগী এবং কোনো কাগজ দেখানো হয়নি।”
হিরণ বলেন, “আমাদের পার্টির জেনারেল সেক্রেটারির মেদিনীপুরের বাড়িতে, পার্টির সম্পাদক এবং মাস্টারমশাই সৌমেন মিশ্রর কেশপুরের বাড়িতে, এবং আমার আপ্ত সহায়ক তমঘ্ন দে-র খড়গপুরের বাড়িতে রাত্রি দুটো থেকে তিনটের মধ্যে হানা দেওয়া হয়। তাদের কাছে কোনও কাগজ-পত্র ছিল না। আমি জানতে পেরে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। আমি তাদের কাছে একটাই প্রশ্ন করি, ‘আপনাদের কাছে কী কাগজ আছে?’ তারা বলে, ‘না, আপনাকে দেখাব না।’ আমি বললাম, ‘আমি তো সাধারণ মানুষ নই, এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, এলাকার বিধায়ক, নির্বাচিত প্রতিনিধি।’” এরপর হিরণ দেব ওরফে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীকে দুষে বলেন, “তারা জানে ভোটে জিততে পারবে না। এর আগে এখানকার অভিনেতা সাংসদ বুথ জ্যাম করে ভোটে জিতেছিলেন। এবার তা হবে না। মান সম্মান জলাঞ্জলী যাবে। তাই এগুলি তাদের শেষ অস্ত্র। পুলিশকে দিয়ে সন্ত্রাস তৈরি করা হচ্ছে। উনি তো নাকি সৌজন্যতার প্রতীক। বাংলার মানুষ দেখুক তাঁর সৌজন্যতা।”
প্রসঙ্গত, গতকাল শুভেন্দু অধিকারী অনুপস্থিত থাকায় পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা। হিরণের মতো তিনিও বলেন, “সার্চ ওয়ারেন্ট এবং ভিডিওগ্রাফি ছাড়া, আমার বা আমার অনুমোদিত কারো উপস্থিতি ছাড়া অভিযান কীভাবে সম্ভব?” এছাড়া, নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে বিজেপি নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।