পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজে ‘দুর্নীতি’র তদন্তে অভিযানে নামল ইডি (ED) |
রাজ্যে এই প্রথম ১০০ দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতির মামলার তদন্তে ফের সক্রিয় হল ইডি। মঙ্গলবার সকালেই এক সঙ্গে রাজ্যের চার প্রান্তের চার জেলায় হানা দেন ইডির গোয়েন্দারা । এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, রাজ্যের ৪ জেলায় একসঙ্গে হানা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED)। এর মধ্যে রয়েছে ঝাড়গ্রাম, হুগলির চুঁচুড়া, মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ও সল্টলেকে অভিযান চালাচ্ছে (ED) ।
ঝাড়গ্রামে এক ডব্লুবিসিএস (WBCS) অফিসারের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় ইডি। আবার ধনেখালির প্রাক্তন বিডিও সল্টলেকের ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি। অন্যদিকে হুগলির চুঁচুড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িয়েও পৌঁছে যান ইডি কর্তারা। তবে যাঁকে ইডি কর্তার খুঁজছেন তিনি সেই ব্যবসায়ী নয় বলেই জানা যায়। এছাড়া মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে বহিষ্কৃত পঞ্চায়েত কর্মীর বাড়িতেও হানা ইডি আধিকারিকদের।
প্রসঙ্গত ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালে হুগলির ধনেখালি ও মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় মোট ৫টি এফআইআর দায়ের হয়। সূত্রের খবর, মূলত ২ ধরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এক ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করে অনেকের কাছে টাকা পাঠানো হয়েছে। দুই ভুয়ো বিল তৈরি করে তার মাধ্যমে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে ।
ইডি (ED)সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে তারা আগেই তদন্ত শুরু করেছিল। তদন্তে দেখা যায়, ১০০ দিনের কাজে যে কোটি কোটি টাকার কেন্দ্রীয় বরাদ্দ এসেছিল,সেই টাকা নয় ছয় করতে ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করা হয়েছিল। ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগেই এই দুর্নীতির বিষয়ে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানায় দু’টি ও হুগলির ধনেখালি থানায় একটি এফআইআর (FIR) দায়ের হয়। এছাড়া রাজ্যের অন্যান্য থানায় দু’টি এফআইআর (FIR) দায়ের হয়। মোট পাঁচটি এফআইআর (FIR) এর ভিত্তিতে ইসিআইআর(ECIR) দায়ের করে তদন্তে নামল ইডি (ED)।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঝাড়গ্রামের যে সরকারি আবাসনে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরাসেখানে জেলার সংখ্যালঘু দফতরের এক প্রশাসনিক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ইডি।যার বিরুদ্ধে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ রয়েছে।
ঝাড়গ্রামের পাশাপাশি তল্লাশি চলছে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে তৃণমূলের বহিষ্কৃত পঞ্চায়েতকর্মী রথীন দে-র বাড়িতে। তল্লাশি চলছে চুঁচুড়ার ময়নাডাঙায় সন্দীপ সাধুখাঁ নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। তাঁর একটি লজেন্স কারখানা রয়েছে। সল্টলেকের যে আবাসনে তল্লাশি চলছে, সেটিতে থাকেন ধনেখালির প্রাক্তন BDO এসকে পান।