পুজো কার্নিভালের দিনেই দ্রোহ কার্নিভালের আহ্বান জানানো হয়েছে। চিকিৎসকদের এই প্রতিবাদী কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার জন্য ধর্মতলার আশেপাশের ৯টি জায়গায় জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা পুলিশ। চিকিৎসকদের সংগঠন কলকাতা হাই কোর্টে আপিল করার পর, সমাধান পাওয়া গেছে।
আজকের শুনানিতে দ্রোহ কার্নিভালের আহ্বান জানানো জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের পক্ষ থেকে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে যুক্তি পেশ করেন। তিনি বলেন, “দ্রোহ কার্নিভাল আয়োজনের জন্য গত ১১ অক্টোবর চিঠি পাঠানো হয়েছিল। রেড রোডের কাছে একটি স্থানে, যা পুজো কার্নিভালের জন্য কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি করেনি, সেখানে এই কার্নিভাল আয়োজিত হয়েছিল। ডাক্তাররা গুন্ডা নয় যে তাদের কর্মসূচি ক্ষতি সাধন করবে। আমি নিশ্চিত যে তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে।” রাজ্যের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ওই কর্মসূচির উদ্দেশ্য অস্পষ্ট ছিল কারণ আয়োজকরা তা স্পষ্ট করেননি।
বিচারপতি প্রশ্ন করেন, দুইটি কর্মসূচি একই সঙ্গে হলে সমস্যা কোথায়? রাজ্য কি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না? এমন কি কি শর্ত রাজ্য সরকার দিচ্ছে? এর উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী প্রস্তাব করেন, চিকিৎসকদের কার্নিভাল অন্য কোনও দিন আয়োজন করা হোক। বুধবার রামলীলা ময়দানে তা হতে পারে। বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুর দুপক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বলেন, “শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার প্রত্যেকের আছে। আদালত এটা বারবার বলেছে। কার্নিভাল করায় বাধা দেওয়া যাবে না।” উচ্চ আদালতের এই রায়ে চিকিৎসকরা উচ্ছ্বসিত হন এবং রানি রাসমনি এলাকায় পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে নেওয়া হয়।