গোটা নিট (NEET) পরীক্ষাই কি বাতিল হয়ে যাবে? দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কি বললেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান!
নিট (NEET) পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক চরমে।এই বছরের ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটে ৬৭ জন যৌথভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। এর ফলে নিট পরীক্ষা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং গ্রেস মার্কস নিয়েও অভিযোগ জানানো হয়েছে। নিট পরীক্ষায় গুরুতর অসঙ্গতির অভিযোগ এনে পরীক্ষা বাতিল এবং কাউন্সেলিং স্থগিত করার দাবি জানিয়ে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক চাপের মুখে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) ঘোষণা করেছে, ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীর যাদের গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল, তাদের ফলাফল বাতিল করা হবে এবং পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে এই পদক্ষেপেও দুর্নীতির অভিযোগ থেমে যায়নি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান মুখ খুলেছেন।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী নিট পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আতঙ্ক বা উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। এখন পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিছু অভিযোগ আসা সত্ত্বেও, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরা উচিত। আসন্ন ৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট তার রায় ঘোষণা করবে, সেই পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করা উচিত। লুকানোর কিছু নেই।”
নিট পরীক্ষা হল চিকিৎসক হওয়ার যোগ্যতা পরীক্ষা। এই পরীক্ষা বাতিল হলে ছাত্রছাত্রীদের উপর যে প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “দেশ ও বিদেশের ৪৭০০-রও বেশি সেন্টারে ২৩ লক্ষের অধিক পরীক্ষার্থী নিট পরীক্ষা দিয়েছেন। পরীক্ষাটি ১৩টি ভাষায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুটি সেন্টার নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। যদি কোনও অনিয়ম হয়ে থাকে, তবে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। পড়ুয়াদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছেন, তাই বিভ্রান্তির কোনও অবকাশ নেই।”
পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “যারা পুনরায় পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক, তারা নির্দিষ্ট ছয়টি সেন্টারে পরীক্ষা দিতে পারবেন। পরীক্ষার্থীদের উত্তর লেখার জন্য যথেষ্ট সময় না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।”