ভোটে হেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক পোস্ট দিয়ে মমতার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন দেবাংশু !
ও লোকসভা নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করেননি, এমন অভিযোগ জেলা নেতৃত্বের। এই অভিযোগের জেরে শনিবার কালীঘাটের বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কঠোর সমালোচনায় পড়েন তমলুকের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। মমতার সমস্ত দাবি অস্বীকার করে, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা পোস্ট করেন। তমলুকের হারের জন্য জেলা নেতৃত্বকে দায়ী করেন এবং দাবি করেন যে জয়ের জন্য তিনি ১০১ শতাংশ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
দেবাংশু তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রতিদিন সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠে, টয়লেট করে, স্নান সেরে, এক বাটি ছাতুর সরবত খেয়ে সকাল ৮টার মধ্যে বেরিয়ে পড়তাম।
প্রখর রোদের মধ্যে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রচার অব্যাহত থাকত। এরপর বাসায় ফিরে গোসল সেরে, দুপুরের খাবার খেয়ে আবার ৩টের দিকে বেরিয়ে পড়তাম। প্রচার চলত রাত ৯টা পর্যন্ত, মাঝে মাঝে তা সাড়ে ১০টা অবধি বাড়ত।
রাতে নিমতৌড়ির বাড়িতে ফিরে খাওয়ার পর শুরু হতো বিভিন্ন নেতা ও কর্মীদের সাথে বাড়ির অফিসে অন্তর্নিহিত মিটিং, যা মাঝে মাঝে রাত ২টো পর্যন্তও চলত। মিটিং শেষে ঘুমানো এবং পরের দিন সকাল ৬টায় উঠা ছিল নিয়ম। তমলুকের দলীয় কর্মীরা, যারা প্রায়ই সেই বাড়িতে আসতেন, তারা সকলেই এই রুটিন সম্পর্কে অবগত।
আমি পরিশ্রমে নিজের সর্বোচ্চ দিয়েছি, যা করতে পারি তার চেয়েও বেশি করেছি। আমার টিমের সদস্যরা, আই প্যাকের কয়েকজন এবং পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছেন। বুথ স্তরের দলীয় কর্মীরাও প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন।
দেবাংশু অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘সব কিছু দিয়েও বিশ্বাসঘাতকতা এবং অর্থের কাছে পরাজিত হয়েছি। কোটি কোটি টাকার মুখে আমাদের সীমিত ক্ষমতার লড়াই বিফল হয়েছে। পুরো জেলায় নেতা বা কর্মীরা নয়, ভোট দিয়েছে শুধুমাত্র অর্থ। নন্দীগ্রাম ও ময়নার বিস্তীর্ণ এলাকায় সন্ত্রাসের পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী অর্ধেক দিন প্রচার না করেও জয়ী হয়েছেন, আর আমি প্রতিটি বুথ ঘুরেও জিততে পারিনি।’
নির্বাচনী এলাকায় প্রথম যাত্রায়, সাংগঠনিক অবস্থা দেখে আমি স্তম্ভিত হয়েছিলাম! মনে হয়েছিল যেন হঠাৎ করে এক অগ্নিকুণ্ডের মধ্যে চলে এসেছি। গত আড়াই মাসে অনেক নতুন মানুষ চিনেছি এবং নানান অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, যা আমাকে প্রচুর চমকে দিয়েছে, তবে সেসব অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে লিখতে বা বলতে চাই না।