দলের রণনীতি নিয়ে তরুণ ব্রিগেডের অসন্তোষ, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যুব সমাজের প্রশ্নের সম্মুখীন আলিমুদ্দিন।
লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম অন্তত একটি আসন জিততে পারে। কিন্তু ভোটের ফল তেমন আশাব্যঞ্জক হয়নি। দলের তরুণ ব্রিগেডও কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। এর ফলে, দলের মধ্যে হতাশাজনক ফলাফল নিয়ে বিভেদ চলছে। দলের একাংশ যুব নেতাদের উপর নির্ভর করেছিল, কিন্তু তারা কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। এখন দলের বৈঠকে যুব নেতাদের প্রতি প্রশ্ন উঠছে আলিমুদ্দিনে।
৬ জুলাই সিপিএম শীর্ষ নেতৃত্ব যুব নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে যুব নেতারা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। খবর অনুযায়ী, অনেক যুব নেতা অভিযোগ করেন যে দলের বর্তমান অবস্থার সমস্ত দায় তাদের উপর চাপানো হচ্ছে, যদিও শ্রমিক, কৃষক এবং দলের ট্রেড ইউনিয়নের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়।
এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসের সাথে জোট বেঁধেছিল সিপিএম, এবং তারা ইন্ডিয়া জোটেও অন্তর্ভুক্ত। দলের একাংশ বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লকে সিপিএমের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, যা কর্মীদের কাছে এখনও অস্পষ্ট। সূত্র অনুযায়ী, যুব নেতারা দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যর্থতার জন্য দায়ী করেছেন, এবং ব্যর্থতার দায় নিচুতলার উপর চাপানোর প্রবণতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আলিমুদ্দিনে এক শীর্ষ নেতাকে বলতে হয়েছে, আপনারা বড় হয়েছেন, কোথায় কতটুকু বলবেন তা ভেবে বলুন।
উল্লেখ্য যে, ওই দিনের বৈঠকে ডিওয়াইএফআই সম্মেলন সম্পর্কে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে যুব সংগঠনের একাংশ চেয়েছিল যে আলিমুদ্দিন এই বিষয়ে কথা বলুক।
গত শনিবার সিপিএমের যুব ফ্রন্টের বর্ধিত সভায় রাজ্যসভার সদস্য ও আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সমালোচনা করা হয়েছে। সেখানে প্রশ্ন উঠেছে যে বিকাশবাবু কীভাবে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে পারেন। উল্লেখ্য, কিছু ব্যক্তিকে ‘ক্যাপ্টেন’, ‘আগুনপাখি’ নামে ব্যক্তিগত প্রচার চালানো হচ্ছে। অনেকে কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তাদের মতে, সিপিএমকে স্বাধীনভাবে দাঁড়ানোর জন্য একা লড়াই করতে হবে এবং পরনির্ভরশীলতা ত্যাগ করতে হবে।