মমতার মাথায় হাত !চার সপ্তাহের মধ্যে ৬% সুদ সমস্ত বকেয়া মেটানোর কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের !
কলকাতা হাইকোর্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে বড় ধাক্কা দিয়েছে। ২০১২ সালের পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ১০ বছর, কিছুর ৫ বছর, আবার কিছুর ২ বছরের বকেয়া প্রাপ্য আটকে রেখেছে। এখন রাজ্যকে সেই সব বকেয়া ৪ সপ্তাহের মধ্যে মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের বিজ্ঞপ্তি খারিজের তিন বছর পরেও নির্দেশ কার্যকর হয়নি। শিক্ষক ও শিক্ষিকারা এখনও তাদের প্রাপ্য বকেয়া পাননি। এই প্রেক্ষিতে, রাজ্যের অর্থ ও শিক্ষা সচিবসহ শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়েছিল, কিন্তু তাতে কোনো ফল হয়নি। এবার কলকাতা হাইকোর্ট কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্য সরকারকে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের বাড়ি ভাড়ার বকেয়া (হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স বা এইচআরএ) এবং ৬ শতাংশ হারে সুদ সহ চার সপ্তাহের মধ্যে মেটাতে হবে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এই কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সম্প্রতি, কলকাতা হাইকোর্ট ১৪ জনেরও অধিক মামলায় বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণে প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি বিজ্ঞপ্তি বাতিলের পরেও রাজ্য কীভাবে তা অমান্য করছে এবং কেন বকেয়া পরিশোধ হচ্ছে না, যা নিয়ে আদালত বিস্মিত।
২০১২ সালে রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় যে, সরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং অন্যজন সরকার পোষিত বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে শিক্ষক বা শিক্ষিকা হন, তাহলে তাদের মধ্যে কেবল একজনই বাড়ি ভাড়া ভাতা পাওয়ার অধিকারী।
এই সিদ্ধান্তের পর হাইকোর্টে মামলা হয়, এবং ২০২১ সালে হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিটি খারিজ করে দেয় এবং বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেয়। কিছু জেলায় নির্দেশ আংশিক কার্যকর হলেও, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি এবং রাজ্য বকেয়া পরিশোধ করেনি।
হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করায় গত বছর পুনরায় মামলা হয়। আদালত অবমাননার মামলায় রাজ্যের শিক্ষা এবং অর্থ সচিব-সহ বেশ কিছু শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু করা হয়। অফিসাররা আদালতে হাজির হয়ে বকেয়া দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দিলেও, সমস্যার সমাধান এখনও হয়নি।