শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে বিপুল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কড়া অভিযানের নির্দেশ রাজ্যপালের !
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে আগেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার সরকারকে ‘ফল ভুগতে হবে’ বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। রবিবার সিআরপিএফ(CRPF)-এর আইজি-র সঙ্গে বৈঠকের পর রাজভবন তিন দফা প্রশ্ন রাখলো রাজ্য সরকারের উদ্দেশে।
এই তিন প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে রেশন দুর্নীতিতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করেছে? ED র ওপর হামলাকারী সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখনও কেন গ্রেফতার হননি কেনো ? শাহজাহান সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে চলে গিয়েছে কি না, এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান কি তা স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে।
শুক্রবারের মতো রবিবারও সরকারকে আইনশৃঙ্খলাজনিত ‘ব্যর্থতা’র বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সন্দেশখালি এলাকা সহ যে সমস্ত পুলিশ আধিকারিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের শাস্তি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্যপালের তরফে।তবে শুধু রাজ্য সরকারের কাছে কেবল কৈফিয়ত চাওয়া বা প্রস্তাব দেওয়াই নয়, এই সমস্ত বিষয়ে সরকারের বক্তব্য সংবলিত রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছে রাজভবন।
রবিবার ইডি এবং সিআরপিএফ-এর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে না পারার জন্য রাজ্য পুলিশের উপর হতাশা প্রকাশ করেন রাজ্যপাল এবং ইডি এবং সিআরপিএফ কে কড়া নির্দেশ দেন পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য ।সাথে সাথে পুলিশকে ‘লুকোচুরি খেলা’ বন্ধ করার জন্য রাজভবনের তরফে কড়া ভাষায় নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সন্দেশখালির ঘটনাকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে আখ্যা দিয়ে রাজ্যপাল বলেছিলেন, গণতন্ত্রে সভ্য সরকারের কর্তব্য বর্বরতা এবং অশান্তি বন্ধ করা। সরকার তার প্রাথমিক কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হলে, অবশ্যই পদক্ষেপ করবে ভারতের সংবিধান। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে রাজভবনে তলব করেন রাজ্যপাল। তাঁদের কাছ থেকে ঘটনার রিপোর্ট চান তিনি। যদিও রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের তিন শীর্ষ কর্তা দেখা করতে যাননি বলে রাজভবন সূত্রের খবর।