নোংরামির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলো তৃণমূল !
এক মহিলা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উপর ‘শ্লীলতাহানি’র অভিযোগ আনেন। তিনি নিজেকে রাজভবনের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বৃহস্পতিবার হেয়ার স্ট্রিট থানায় গিয়েছিলেন। পুলিশ বা রাজভবন এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সরকারি বিবৃতি দেয়নি।
ঘটনাচক্রে , বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় আগমন ঘটছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তাঁর রাত্রিবাসের কথা সেখানে। এই সময়েই রাজ্যপাল বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রকাশ পেয়েছে।
পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, অভিযোগকারিণী হেয়ার স্ট্রিট থানায় উপস্থিত আছেন। লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তাব্যক্তিরা এবং ডিসি সেন্ট্রালও সেখানে আছেন।
এ বিষয়ে ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় উল্লেখ করেন, “সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৬১ মোতাবেক, রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি পদক্ষেপ নেওয়া যায় না। এই বিষয়ে সাংবিধানিক সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে। তবে, জমি সংক্রান্ত কোনো দেওয়ানি মামলা করা সম্ভব।” তিনি আরও যোগ করেন, “এই ধরনের অভিযোগ অতীতে উঠেছে কিনা তা আমার মনে পড়ে না। সুতরাং, আদালতে এই বিষয় গেলে কী হবে তা আমি জানি না। সুপ্রিম কোর্ট এটি কীভাবে ব্যাখ্যা করবে তা অনুমান করা সম্ভব নয়।”
তথাগত আশঙ্কা করছেন যে গোটা ঘটনার পিছনে হয়তো চক্রান্ত রয়েছে। তিনি বলেন, “আমি আনন্দ বোসকে বহু দিন ধরে চিনি, যিনি একজন অভিজ্ঞ এবং দক্ষ অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার। তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনার পিছনে নিশ্চয়ই কোনও চক্র কাজ করছে। এটি বিভিন্ন দুর্নীতি এবং সন্দেশখালি কাণ্ড থেকে মানুষের দৃষ্টি সরানোর একটি উপায় হতে পারে।”
এক মহিলার অভিযোগের জেরে রাজ্যের শাসক দল সক্রিয় হয়েছে। রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ ইতিমধ্যেই এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডলে এই বিষয়ে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, “বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে, যা ভয়াবহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতা সফরে আসছেন এবং রাজভবনে রাত্রিবাসের কথা রয়েছে। এরই মধ্যে, এক মহিলা অভিযোগ করেছেন যে তিনি যখন আজ রাজভবনে গিয়েছিলেন রাজ্যপালের সাথে দেখা করতে, তখন তাঁর সাথে শ্লীলতাহানি ঘটে। অভিযোগকারিণীকে হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেছেন, “একটি মেয়ের সম্মানহানি হয়েছে, যা ক্ষমার অযোগ্য। এর প্রতিকার হওয়া উচিত। কোনও পদ অভিযুক্তকে রক্ষা করতে পারে না। সন্দেশখালির ঘটনায় সবাই যেমন সরব ছিল, এখন সেই সবাই কোথায়? আমরা কখনও বলিনি সন্দেশখালিতে কিছু হয়নি। এখন যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়েও মানুষের মুখ খুলে কথা বলা উচিত। এসবের জন্য বাংলার বদনাম হচ্ছে, বাইরে থেকে এসে বাংলাকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে।”