এবার পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ হয়ে গেল সুপ্রাচীন ব্রিটানিয়া বিস্কুট কারখানা!
তারাতলার ব্রিটানিয়া বিস্কুট কারখানাটি বন্ধ হয়ে গেছে। মে মাসের প্রথম থেকে উৎপাদন বন্ধ ছিল, এবং লোকসভা নির্বাচন শেষ হতেই কারখানাটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে শতাধিক শ্রমিক তাদের কাজ হারিয়েছেন। প্রায় শতবর্ষ প্রাচীন এই কারখানাটি এখন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ।
মে মাসের প্রথম থেকেই উৎপাদন বন্ধ ছিল। এখন, তারাতলার ব্রিটানিয়া বিস্কুট কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কারখানা বন্ধ হওয়ায় অনেক কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। যদিও স্থায়ী কর্মীরা কিছু ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, অস্থায়ী শ্রমিকরা কোনো কিছু ছাড়াই কাজ হারিয়েছেন।
শ্রমিকরা জানিয়েছেন, কারখানায় উৎপাদন ভালো এবং লাভও প্রচুর হতো। তবুও কারখানাটি কেন বন্ধ হয়ে গেল, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার ম্যানেজমেন্টের বৈঠকের পর জানা যাবে যে কারখানাটি আবার খুলবে কিনা, নাকি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। অস্থায়ী কর্মীদের সাথেও বৈঠক করবে কর্তৃপক্ষ, যাতে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। স্থায়ী কর্মীদেরকে ভিআরএস দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বন্দরের জমির উপর ৯৯ বছরের লিজ নিয়ে গড়ে উঠেছিল ব্রিটানিয়ার কারখানা। জমি সংক্রান্ত কোনও জটিলতা অথবা অন্য কোনও কারণে কারখানাটি বন্ধ হয়ে গেছে, তা এখনও অস্পষ্ট।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কারখানা বন্ধের প্রসঙ্গে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে একটি শিল্পবিরোধী চিত্র সৃষ্টি হয়েছে। তার মতে, যে দল তোলাবাজির সাথে জড়িত, তাদের আমলে শিল্প সফলভাবে চালু থাকতে পারে না।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী কারখানা বন্ধের ঘটনাকে খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ব্রিটানিয়া বাংলার আবেগের অংশ এবং নতুন শিল্প গড়ে উঠছে না, বরং চালু শিল্পগুলিও বন্ধ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিকে তিনি বাংলার দশা ও দিশা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের কার্যকলাপে কোনো সমাধানের ইঙ্গিত নেই বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। শিল্প দফতর এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাজ ভোট আদায়ের দিকে মনোনিবেশ করা বলে তাঁর অভিযোগ। ফলে শিল্প এবং মানুষের রুজিরোজগার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।