বাংলাদেশে রাতভর হিন্দুদের বাড়ি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর ‘হামলা’ মৌলবাদী জঙ্গীদের !
হাসিনা সরকারের পতনের পরে, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এই ঘটনায় ইউনুস সরকার রাষ্ট্রসংঘের প্রশ্নের মুখে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কোনো উদ্যোগ না নিয়ে, নতুন আইন প্রণয়ন করে এবার বাংলাদেশের প্রধান সংখ্যালঘু মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের প্রতিবাদে অস্থিরতা বিরাজ করছে। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন নাকচ হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের অনেক স্থানে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ জোরদার হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুরে পর্যায়ক্রমিক বিক্ষোভ ও অবরোধ চলছে। অভিযোগ উঠেছে যে, প্রতিবাদকারীদের উপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের আদালতে গ্রেপ্তার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন খারিজ হয়েছে। এর ফলে সন্ন্যাসীর অনুসারীরা আদালত চত্বরে তীব্র প্রতিবাদ শুরু করে। প্রিজন ভ্যান থেকে তিনি সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। পরবর্তীতে, রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ধৃত চিন্ময়কৃষ্ণ দাস প্রভুকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে নেওয়া হয়। এই ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতিবাদ আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম আদালতের বিক্ষোভের সময় এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়।
সূত্রের খবর,গতকাল রাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা করে মৌলবাদীরা ।বিশেষ করে জামাত এ ইসলামীর নেতা ও কর্মীরা প্রতিবাদী হিন্দু ও ধর্মীয় স্থানে হানা দেয়। কয়েকদিন আগেও চট্টগ্রামের হাজারি গলিতে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। তখন বেশ কয়েকজন হিন্দু নাগরিককে বাংলাদেশ সেনা গ্রেফতার করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে।