১৮ মাস পরে তিহাড় জেল থেকে বের হলেন অনুব্রত মন্ডল!
সোমবার রাতে অনুব্রত মণ্ডল তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে এলেন। কেষ্ট নামে পরিচিত এই ব্যক্তি জেলের তিন নম্বর গেট দিয়ে বের হয়ে ফুলের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। গরু পাচার মামলায় ইডির মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল তিহাড় জেলের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন।
কেষ্ট মণ্ডল জেল থেকে মুক্তি পেয়ে দিল্লি বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ১৮ মাসের অবসানে তাঁর মুক্তি ঘটেছে। সিবিআই এবং ইডির মামলায় তিনি জামিন লাভ করেছেন। তিহাড় জেল ছেড়ে তিনি বিমানবন্দরের পথে পাড়ি দিয়েছেন।
তিহাড় জেল থেকে বেরিয়ে এসে বাবাকে দেখে সুকন্যার চোখ ভিজে উঠল। গত পুজোর আগে তার গ্রেফতার হওয়ার পর, এই পুজোর আগে অনুব্রত মুক্তি পেলেন।
অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী দাবি করেছেন যে গরু পাচারের অর্থ তাঁর মক্কেলের অ্যাকাউন্টে সরাসরি আসার কোনো প্রমাণ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দেখাতে পারেনি। অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের জামিন পাওয়ার খবরে তৃণমূল শিবির স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি অনুভব করছে।
অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমে ফেরার পর কেমন স্বাগত জানানো হবে তা দেখার বিষয়। সিউড়িতে ইতিমধ্যেই মিষ্টিমুখের আয়োজন শুরু হয়েছে। বীরভূমের নানা প্রান্তে আবীর খেলার উৎসব চলছে। তৃণমূলের উচ্ছ্বাস এই ঘটনায় স্পষ্ট। গত কয়েক দিন ধরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে অনুব্রতর জামিনের পেছনে একাধিক শর্ত আরোপ করেছে আদালত। তাকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারবেন না। দিল্লি ও বীরভূমে অনুব্রতর বসবাসের ঠিকানা আগাম জানিয়ে রাখতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।
২০২২ সালের ১১ অগস্ট গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। একই মামলায় ১৬ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সেবার একেবারে বীরভূমের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। সিবিআইয়ের পর এবার ইডির মামলাতেও জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল।
বাবা ও মেয়ে উভয়েই থাকতেন তিহাড় জেলে। কন্যা ১০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছেন। এবার মুক্তি পেলেন বাবাও। এদিকে অনুব্রতর মুক্তির ঘটনা কার্যত রাজ্য রাজনীতিতেও শোরগোল ফেলে দিয়েছে। তিহাড় থেকে মুক্তি পেলেন অনুব্রত। ঢাক বাজবে বীরভূমে। তার আগেই বীরভূমের পথে কেষ্ট মণ্ডল। এবার অনুব্রতর ভূমিকা রাজনীতিতে কী হয় সেটাও দেখার। অনেকেরই এনিয়ে আগ্রহ রয়েছে।