“বাংলায় সিএএ লাগু হবেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আটকাতে পারবে না”,ধর্মতলার সভা থেকে কড়া বার্তা অমিত শাহের
সিএএ আইন হয়ে গিয়েছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে। বুধবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির ভরা সভায় কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ।সিএএ-র পথে অন্তরায় তৃণমূল, তিনি বলেন, এত অনুপ্রবেশ কোনও রাজ্যে হলে সেখানে উন্নয়ন হতে পারে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের জন্য সিএএ(CAA) -র বিরোধিতা করছেন। এর পরেই অমিত শাহ বলেন, আমি বলছি, সিএএ আইন হয়ে গিয়েছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে। সিএএ লাগু হবেই, কেউ আটকাতে পারবে না।”
এই রাজ্যে সিএএ চালুর পথে যে তৃণমূল সরকারই অন্তরায়, এদিন তাও জানিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি বলেন , ২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ রাজ্যে সিএএ চালু হবে। কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করতে চাইলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের জন্য সিএএ(CAA) -র বিরোধিতা করছেন,তৃণমূল সরকার তা করতে দিচ্ছে না।
এদিকে অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ! অমিত শাহ বলেন, দেশে সব চেয়ে বেশি রাজনৈতিক হিংসা হয় বাংলায়। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ রুখতে লোকসভা চলতে দেননি, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড করে দিচ্ছেন। শুধু তাই নয় রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড করে দেওয়া হচ্ছে।
এদিনের সভায় অমিত শাহ বলেন, পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসমে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সেখানে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যেও বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, প্রতিবেশী দেশ থেকে যে হিন্দু ভাইয়েরা এসেছেন, এদেশের ওপর আমাদের যতটা অধিকার রয়েছে, তাঁদেরও ততটাই অধিকার রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসদে পাশ হয় সিএএ। সিএএ-তে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের জেরে ভারতে চলে আসা সে দেশগুলোর ছ’টি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এতে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে কংগ্রেস,তৃণমূল কংগ্রেস আর বাং দলগুলো।
এদিন বিজেপির জনসভা উপলক্ষ্যে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। প্রত্যাশিতভাবেই সেই সভায় তৃনমূল সরকারকে আগাগোড়া নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ।