তৃতীয় মোদি সরকারের ১০০ দিন পূর্তিতে কী কী উদ্যোগ সরকারের? তালিকা ঘোষণা অমিত শাহর
মঙ্গলবারে তৃতীয় মোদী সরকারের ক্ষমতায় আসার ১০০ দিন পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষে, দল একটি বিশেষ পুস্তিকা প্রকাশ করেছে যাতে সরকারের গৃহীত প্রকল্পগুলির বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবারে অমিত শাহ জানিয়েছেন, মোদী সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মাত্র ১০০ দিনে ১১ লক্ষ মহিলাকে ‘লাখপতি দিদি যোজনা’র অধীনে আনা হয়েছে। অমিতের দাবি অনুযায়ী, এক কোটি মহিলা বর্তমানে বছরে এক লক্ষ টাকা করে পাচ্ছেন। মোদী সরকার এই যোজনা শুরু করেছে যাতে মহিলারা সম্মানের সাথে জীবন যাপন করতে পারেন। দিল্লির এক সাংবাদিক বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আজ দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন। মোদীর জন্মদিনে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ‘সেবা পাখওয়াড়া’ পালন করবে, যা ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।” তিনি আরও দাবি করেন, নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এসেছে এবং নানা নীতির বাস্তবায়ন হয়েছে। গত দশ বছরে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তা জোরদার করে মোদী সরকার একটি ‘শক্তিশালী’ রাষ্ট্র গঠনে সক্ষম হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার বর্তমান মেয়াদে তিন লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছে, যার মধ্যে ২৫ হাজার গ্রামকে সড়ক যোগাযোগে যুক্ত করা হয়েছে এবং এই প্রকল্পে ৫০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের বধাবনে একটি গভীর জলের বন্দর নির্মাণ করা হয়েছে, যার জন্য ইতিমধ্যেই ৭৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং এটি বিশ্বের শীর্ষ দশটি বন্দরের মধ্যে স্থান পেতে পারে। খারিফ শস্যের উপর ন্যূনতম সমর্থন মূল্য বৃদ্ধি, পেঁয়াজ ও বাসমতি চালের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য অপসারণ, এবং অপরিশোধিত পাম, সয়াবিন, এবং সূর্যমুখী তেল আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপ থেকে বোঝা যায় যে সরকার কৃষি খাতেও নজর দিচ্ছে।” কৃষি খাতে গভীর পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে সরকার ‘এগ্রিসিওর’ নামে একটি তহবিল তৈরি করেছে, যা ক্ষুদ্র ও গ্রামীণ উদ্যোগগুলিকে উৎসাহিত করবে।