একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গ সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দু’দিনের সফরে ঠাসা কর্মসূচির মদ্ধ আজ শিলিগুড়িতে এক বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখলেন অমিত শাহ !
শিলিগুড়ির জনসভা থেকে অমিত শাহ বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের কাছে পরিষ্কার করে দিতে চাই, তৃণমূল সিএএ-র বিরোধিতা করছে। সেই কারণে তারা এর সম্বন্ধে মিথ্যে তথ্য ছড়াচ্ছে। ওরা বলছে, সিএএ নাকি কোনওদিন বাস্তবের মাটিতে জারি হবে না। কিন্তু আমি আজ পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, করোনার দাপট কমলেই আমরা সিএএ জারি করব এবং আমাদের ভাইদের নাগরিকত্ব দেব।
মমতা দিদি, আপনি তো এটাই চান, যে অনুপ্রবেশ জারি থাকুক, এবং বাংলাদেশ থেকে যে শরণার্থীরা এসেছেন, তাঁরা নাগরিকত্ব না পান। তৃণমূলের লোকেরা কান খুলে শুনে নিন, সিএএ বাস্তবতা ছিল, বাস্তবতা আছে এবং থাকবে। মমতা দিদি, আপনি আটকাতে পারবেন না।’’
প্রসঙ্গত, বিধানসভা লড়াইয়ের আগে প্রচার চলাকালীন, ঠিক এ কথাই অমিতের মুখে শোনা গিয়েছিল। বোলপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও তিনি জানিয়েছিলেন, করোনা কমলে সিএএ প্রয়োগ নিয়ে বিবেচনা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো দিন। উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলার মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় সিএএ-র দাবিতে বিক্ষোভও হয়েছে। দলের ভেতরে বেসুরে কথা বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও। প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, সিএএ-র নীতি প্রণয়ন এখনও হয়নি। একাধিক বার সংসদে নীতি প্রণয়নের সময়সীমা বর্ধিত করা হয়েছে। কিন্তু সিএএ জারি হয়নি। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে এক বছর পরে এসে একই কথা একটু কড়া ভাষায় বলে গেলেন অমিত শাহ !
শিলিগুড়ির সভায় অমিত শাহ হুঙ্কার দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সিএএ প্রয়োগ ঠেকাতে পারবেন না। এই প্রসঙ্গে মমতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো উত্তর দেন নি ,মমতা ব্যানার্জী বলেন, ‘‘এই প্রসঙ্গে যা বলার জয়প্রকাশ বলবে।’’তাছাড়া আমি সিএএ বলতে বুঝি চার্টার্ড একাউন্টেন্ট।আমরা যারা এই দেশে থাকি সবাই নাগরিক,নতুন করে নাগরিকত্ব দেয়ার কি কারণ আছে বুঝতে পারলাম না !