লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের বিরুদ্ধে বাড়ছে বিক্ষোভ ? রাস্তার মধ্যে ‘ভাতা চাই না’ বলে চিৎকার করছে মহিলারা !
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য ভোটবাক্সে সাফল্য এনেছে। বিজেপিকে বাংলায় পরাজিত করার পেছনে এই প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৃহত্তম সহায়ক হয়েছে। পূর্বে, এই প্রকল্পের অধীনে বাংলার মহিলারা প্রতি মাসে পাঁচশো টাকা করে ভাতা পেতেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে, মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভান্ডারের অনুদান বাড়িয়ে মাসিক ১০০০ টাকা করেছেন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হকারদের উচ্ছেদ চলছে। এই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে। গত সোমবার নবান্নে বৈঠকের পর পুলিশ হকার উচ্ছেদে নেমেছে। অভিযোগ উঠেছে যে, উচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় আইনি পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে না। এর ফলে উচ্ছেদ বন্ধের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
মামলাকারীরা বলছেন, “পুলিশ হকার উচ্ছেদের নামে অত্যাচার চালাচ্ছে, এই মামলা সেই অত্যাচার বন্ধের জন্য।” আইনজীবীর মতে, “দখলদারদের উচ্ছেদে আইনি প্রক্রিয়া মানা হচ্ছে না। হকারদের উপর মারধর করা হচ্ছে। তাদের বৈধতা বা অবৈধতা নির্ণয় করা হচ্ছে না।”
আজই সোনারপুরে অবৈধ দখল মুক্ত করার চেষ্টায় পুলিশ বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এলাকার মহিলারা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়, আমরা নিজের ব্যবসা করে খেতে চাই।” মহিলারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ঘিরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলে। সোনারপুর বাজার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার সাথে সাথে এলাকায় প্রচণ্ড উত্তেজনা দেখা দেয়। মহিলারা প্রথম থেকেই বাধা দেন। পুলিশ আসতে দেখে তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাদের দাবি, এই ব্যবসা দিয়েই তারা সংসার চালান এবং বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচ চালান। উপার্জনের পথ বন্ধ হলে তারা কোথায় যাবেন, এই প্রশ্ন তুলে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।