রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সংঘাত নতুন মোড় নিল বৃহস্পতিবার । এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে আর রাজ্যপাল থাকবেন না ৷ এবার আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করতে চেয়ে বিধানসভায় বিল আনতে চলেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি যত বিশ্ববিদ্যালয় আছে তার আচার্য পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে,তার পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে চেয়ে বিধানসভায় বিল আনবে রাজ্য সরকার।’
বস্তুত, বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকারের সঙ্ঘাত পশ্চিমবঙ্গে নতুন নয়। শিক্ষাক্ষেত্রেও এই সঙ্ঘাত বারবার চরমে পৌঁছেছে। এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্যপাল বৈঠক করতে চাইলেও উপাচার্যরা যাননি। এ ছাড়া উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও রাজ্যপালের সঙ্গে সঙ্ঘাত বাধার নজির রয়েছে রাজ্যের।
এমন পরিস্থিতে আচার্য হিসাবে রাজ্যপালকে সরানোর ভাবনা-চিন্তা বহু আগেই শুরু হয়েছিল সরকারের অন্দরে। তখনই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আচার্য হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীকেই ভাবতে চলেছে সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য চেয়ে ২০১০ সালে প্রস্তাব করেছিল একটি কমিশন। সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া জানতে রাজভবনে ফোন করা হয়েছিল। রাজভবন সূত্রে জানান হয়েছে, এ বিষয়ে রাজ্যপাল যা বলার টুইট করে বলবেন।