রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় ৩১ বছর পর জেল জীবন থেকে মুক্তি মিলল এজি পেরারিভালনর।তামিলনাড়ু সরকার তাঁর মুক্তির জন্য আগেই আবেদন জানিয়েছিল। বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করে সেই আবেদনই মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট।
আজ ১৮ই মে বুধবার এই মামলায় শীর্ষ আদালতে শুনানি ছিল। শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট তাকে মুক্ত করার নির্দেশ দেয়। এই রায়ই রাজীব গাঁধী হত্যা মাললার আরও ছয় অপরাধীর মুক্তির পথ প্রশস্ত করে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। যাদের মধ্যে রয়েছে নলিনী শ্রীহরন এবং তার স্বামী মুরুগানও।
Supreme Court orders release of AG Perarivalan, one of the convicts serving life imprisonment in connection with the assassination of former Prime Minister Rajiv Gandhi.
— ANI (@ANI) May 18, 2022
এজি পেরারিভালন বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। আগেই নিজের স্থায়ী জেলমুক্তির আবেদন করেছিল পেরারিভালন।রাজীব হত্যার সময় ১৯ বছর বয়স ছিল পেরারিভালনের। জঙ্গি সংগঠন লিবারেশন টাইগারস অফ তামিল ইলামের (LTTE) সদস্য তথা রাজীব হত্যার অন্যতম চক্রী শ্রীবাসনের জন্য দু’টি ৯ ভোল্টের ব্যাটারি কেনার অভিযোগ উঠেছিল পেরারিভালনের বিরুদ্ধে। সেই ব্যাটারিই বিস্ফোরণ ঘটানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল।এজি পেরারিভালনের গ্রেপ্তারির পর ১৯৯৮ সালে সন্ত্রাস দমন আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দেয়।। ১৯৯৯ সালে সেই সাজাই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। তবে ২০১৪ সালে তা বদলে যাবজ্জীবন করা হয়। চলতি বছর মার্চে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়। সেই আবেদনের বিরোধিতা করে কেন্দ্র। পেরারিভালনের আইনজীবী সওয়াল করেন, সব মিলিয়ে তিনি ৩৬ বছর জেলে কাটিয়ে ফেলেছেন। তাঁর আচরণ নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ নেই। তাই তাকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া উচিত।
এটা ঘটনা পেরারিভালনের মুক্তির বিষয়টি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের উপর ছাড়েন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল। কিন্তু রাষ্ট্রপতি কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। তখন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তামিলনাড়ু সরকার চায় রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষীসাব্যস্ত সাত জনকেই ১৬১ ধারায় ক্ষমা করা হোক। তাই রাজ্যপাল রাজ্যের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য। এরপরই এদিন পেরারিভালনকে মুক্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।