পার্থর দিকে মল ভরতি মগ ছুঁড়ল জঙ্গি মুসা! পড়ে গিয়ে থুতনি ফাটালো পার্থ চট্টোপাধ্যায়!
প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে কেলেঙ্কারি কাণ্ড। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) লক্ষ্য করে মল ভরতি মগ ছুঁড়ল জঙ্গি মুসা। মল আক্রমণ থেকে বাঁচতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। থুতনিতে চোট পেয়েছেন তিনি।
পার্থর শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে বুধবার এসএসকেএমের একদল চিকিত্সক জেলে যান।চিকিত্সকরা জানান, ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা ঠিকঠাকই রয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলে। আর মুসা থাকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। তাদের দু’জনকে কেন্দ্র করে নাটকীয় কাণ্ড ঘটে গত শনিবার। ওইদিন বিকেলে বন্দিদের লক আপে ঢোকানো হচ্ছিল। জেলে সাধারণত গম্ভীর হয়েই থাকেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব ভঙ্গিমায় আর একটু উঠোনে হাঁটবেন বলেই জানান পার্থ। কেন দুই বন্দির ক্ষেত্রে দু’রকম নিয়ম হবে, সেকথা বলতে শুরু করে ক্ষুব্ধ মুসা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে গালাগাল দিতে শুরু করে মুসা।
এরপরই ক্ষুব্ধ মুসা চরম পদক্ষেপ নেয়। হঠাত্ মল ভরতি মগ হাতে তুলে নেয়। সকলকে অবাক করে পার্থর দিকে ছুঁড়ে দেয়। মল আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে তড়িঘড়ি সরে যান পার্থ। কিন্তু ভারী শরীর নিয়ে সরতে গিয়ে যত বিপত্তি। পড়ে যান পার্থ। থুতনিতে চোট পান। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে আসেন কারারক্ষীরা। নিয়ে যাওয়া হয় জেল হাসপাতালে। এবং বুধবার এসএসকেএমের একদল চিকিত্সকও জেলে যান। পার্থর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা ঠিকঠাকই আছে।
আইএসআই জঙ্গি মুসার এই এক বদভ্যাস। মলত্যাগ করে সে মগে। আর জমিয়ে রাখে তার টার্গেটের জন্য। মল আক্রণের মুখে পড়ে পার্থ আরও গম্ভীর হয়ে গিয়েছেন। কারও সঙ্গে বিশেষ কথা বলছেন না। পার্থর উপর হামলার পর মুসাকে ‘শাস্তি’ হিসাবে একের দশ আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।
আইএস জঙ্গি মুসা ওরফে মহম্মদ মসিউদ্দিন ধরা পড়ে ২০১৬ সালের ৪ জুলাই। বর্ধমান স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে রেলপুলিশ ও সিআইডি। বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা মুসা। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মুসা প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছে। গত কয়েকমাস ধরেই এই জেলই ঠিকানা পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গত বছরের ২২ জুলাই গ্রেফতার করে ইডি। তারপর থেকে জেলই তাঁর ঠিকানা। এর আগেও জেলের মধ্যে কারারক্ষীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে মুসার বিরুদ্ধে। কলকাতার নগর ও দায়রা আদালতে এজলাসে দাঁড়িয়ে বিচারকের দিকে জুতোও ছুড়েছিল সে। সেই সময় সে চিৎকার করে বলেছিল, ‘মানুষের তৈরি আইন আমি মানি না।’