গ্রুপ-সি কর্মী নিয়োগের মামলায় মূল অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল সিবিআই।
নিয়োগ মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আনা চার্জশিটে অবশেষে অনুমোদন পেল সিবিআই। তাদের চার্জশিটে অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর এ বার আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চার্জশিট গ্রহণের আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
গ্রুপ-সি কর্মী নিয়োগের মামলায় পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল সিবিআই। তিনিই এই মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত। কিন্তু সিবিআইয়ের সেই চার্জশিট আদালতে গ্রহণ করা যায়নি। এ ক্ষেত্রে নিয়ম হল, চার্জশিটে রাজ্যপালের অনুমোদন না মিললে আদালত তা গ্রহণ করে বিচারপ্রক্রিয়া এগোতে পারে না। পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিলেও তাই তদন্ত ঝুলেই ছিল এত দিন। চার্জশিটে অনুমোদনের জন্য সিবিআইয়ের তরফে রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সিবিআই জানায়, রাজ্যপালের দফতর থেকে পার্থের চার্জশিটে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। এ বার পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। অর্থাৎ, আদালতকে এ বার চার্জশিটটি গ্রহণের আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি-র নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার ওই চার্জশিটে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও আরও পাঁচ অভিযুক্তের নাম ছিল। নাম ছিল শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ একাধিক প্রাক্তন আধিকারিকের। সেই সব আধিকারিকের জন্য আবার অনুমোদন চাওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। সেই অনুমোদন এখনও মেলেনি। ফলে ও চার্জশিট আদালত গ্রহণ করবে কি না, এ ক্ষেত্রে কোনও বিকল্প পথ রয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে।
পার্থকে প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ইডি। মাস কয়েক পর তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁদের হেফা জতে নিয়ে জেরা করার পর বিচার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও রাজ্যপালের অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল। সেই অনুমতি আগেই দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরির বিক্রির গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে। আর সেই অভিযোগে নাম জড়ায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর বান্ধবীর বাড়ি থেকে নগদ প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে পড়ে যান পার্থ। এরপরই পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে তাঁরা দুজনেই জেল-বন্দি রয়েছে ।