গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফের পথে নেমেছেন এসএসসি (SSC) ২০১৬ প্যানেলের চাকরিহারা “যোগ্য” শিক্ষকরা। তাঁরা বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। এই প্রেক্ষাপটে, গতকাল “যোগ্য” শিক্ষকদের বিক্ষোভে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, যেখানে আহত হন একাধিক শিক্ষক। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পুলিশ আন্দোলনকারীদেরকেই “দায়ী” করছে। এদিকে, শুক্রবারও চাকরারা “যোগ্য” শিক্ষকরা আন্দোলনে অংশহণ করছেন। তাঁদের অবস্থান মঞ্চে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
বিরোধী দলনেতার সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ এবং কৌস্তভ বাগচী। তবে, বিরোধী দলনেতা সেখানে উপস্থিত থাকলেও কোনো রাজনৈতিক পতাকা নিয়ে যাননি এবং মঞ্চে উঠেননি। শুভেন্দু অধিকারী চাকরিহারাদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে সেখানে কিছু সময় অতিবাহিত করেন।
- আরও পড়ুন —‘আশা করছি মমতা পদত্যাগ করবে’, ডিএ ইস্যুর মাঝেই রাজ্যে সরকারের ওপর চাপ বাড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী !
এমতাবস্থায়, চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি, কোনও বক্তব্য রাখার জন্য নয়। আমি এখানে কোনও পূর্বশর্ত নিয়ে আসিনি। এই সমস্যার জন্য নবান্নই দায়ী। সুপ্রিম কোর্ট একাধিকবার যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের পৃথক করার নির্দেশ দিয়েছে। এসএসসি চেয়ারম্যান শুধুই ল্যাম্পপোস্ট। মন্ত্রীরা সকলেই ল্যাম্পপোস্ট, আর মুখ্যমন্ত্রী হলেন একমাত্র পোস্ট।”
তিনি আরও বলেন, “১৫ জন বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর এসএসসি চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তিনি সাক্ষাৎ করেননি। সেই সময়ে গাজিয়াবাদ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে CBI জমা দেওয়া রিপোর্টে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের পৃথক করার কথা উল্লেখ করা হয়।” এদিকে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা যোগ্য শিক্ষকদের দাবিতে আগামী ৯ জুন থেকে বিধানসভাচল করার হুমকি দিয়েছেন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সবাই সহ্য ও ধৈর্য ধরে রাখুন। আপনাদের সাফল্য হাতের নাগালেই রয়েছে।” উল্লেখ্য, আন্দোলনরত যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং সেই বিষয়ে শুভেন্দুর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা যোগ্য শিক্ষকদের অবস্থানে রাত্রিযাপন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি “যোগ্য” শিক্ষকদের এই আন্দোলনে প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহের বিষয়ে তিনি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন।