রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আপাতত ২৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা প্রদানের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে সকল কর্মচারীকে এই পরিমাণ ডিএ প্রদান করতে বলা হয়েছে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এই নির্দেশ জারি করেছে। আগামী অগাস্ট মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
সুপ্রিমোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা সন্তুষ্ট। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন কর্মচারীদের যে মহার্ঘভাতা তাদের প্রাপ্য, তা এত দিন রাজ্য সরকার অস্বীকার করছিল। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে এটি স্বীকৃতি পেল যে এটি আমাদের অধিকার। বিচারপ্রক্রিয়া এখনও চলছে। আশা করি, শেষ হলে আমরা পুরো বকেয়া ডিএ পাবো । এক আন্দোলনকারী বলেন, আমাদের দাবি যে সঠিক ছিল, এত দিনে তার স্বীকৃতি পেলাম। সুপ্রিম কোর্ট জানেছে, হাই কোর্ট বা অন্য কোনও পর্যবেক্ষণে কোনও ভুল নেই। যারা দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন, তারা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন ।
২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর রাজ্যের ডিএ মামলা প্রথমবার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে এই বিষয়ে বারবার শুনানি পিছিয়ে গেছে। ১৮ বার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার পর শেষমেষ শুক্রবার মামলাটি শীর্ষ আদালতে উঠে। আদালত জানায়, হাই কোর্টের নির্দেশে কোনও ভুল নেই। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যে পরিমাণ বকেয়া মহার্ঘভাতা রয়েছে, তার মধ্যে আপাতত ২৫ শতাংশ এখনই দিয়ে দিতে হবে। পরবর্তী শুনানিতে বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করা হবে।
কেন্দ্রীয় হারে এবং বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের নিয়মে ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে হাই কোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সুপ্রিম কোর্ট আপিল করে। সেই মামলায় শুক্রবার আদালত ২৫ শতাংশ বকে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘হাতে এখনও অর্ডার পাইনি। পাওয়ার পর যা বলার বলব।’’