সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের জন্য রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দায়ী করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্ট অনেক সুযোগ দিয়েছিল যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা পৃথক করার জন্য। কিন্তু কমিশন তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। শুভেন্দুর অভিযোগ অনুযায়ী, রাজ্য সরকারেরও যথেষ্ট গাফিলতি ছিল। শুক্রবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্স শুনে মনে হচ্ছিল চোরের মায়ের লম্বা গলা।”
বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, “সুপ্রিম কোর্ট অনেকবার রাজ্য সরকার এবং এসএসসি-কে সুযোগ দিয়েছে যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই করার জন্য। গোটা ভারতে মুখ্যমন্ত্রীর শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গ বিভিন্ন বিষয়ে কলঙ্কিত হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এসএসসি-কে ধ্বংস করেছেন। এসএসসি-র বেশিরভাগ কাজ নাকতলার বাড়ি থেকে করা হতো।”
শুভেন্দুর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রীর নিজের দফতরের অফিসাররা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এসপি সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় কীভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করলেন, এটা মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না? ৬০০০ শূন্যপদ এই ফর্মুলা বের করেছেন দুর্নীতিগ্রস্ত মনীশ জৈন।” শুভেন্দুর কথায়, “যারা যোগ্য চাকরিপ্রার্থী, তারা নিজে থেকে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করুন। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বলব, আপনারা আর একবার আইনি চেষ্টা করুন। যারা যোগ্য, তাদের চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।”
চাকরিহারাদের এই পরিণতির জন্য বিজেপি ও সিপিআইএমকে একযোগে নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জবাবে শুভেন্দু বলেন, “আমরা চাইনি অযোগ্যদের বাদে কারও চাকরি যাক। এই পরীক্ষায় রাজ্য সরকার অনুরোধ করুক কেন্দ্রীয় সরকারকে পরীক্ষা করার জন্য। পরবর্তীতে যখন এসএসসি হবে, এই সরকারকে দিয়ে পরিচালনা করা যাবে না। আমি চাকরিপ্রার্থীদের আবেদন করব, পরীক্ষা হলে কোর্ট মনিটরিংয়ের জন্য আপনারা হাইকোর্টে যান।”