যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সুলেখা থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল যে মিছিল, তার রুট পরিবর্ত করা হয়েছে। মিছিলটি নবীনা সিনেমা হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ধরে যাদবপুর থানায় গিয়ে শেষ হয়। শুভেন্দুর সঙ্গে মিছিলে অংশ নিয়েছেন কৌস্তভ বাগচি, ইন্দ্রনীল খাঁয়ের মতো নেতারা এবং আরও অনেক প্রথম সারির নেতা। ‘মার্কসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে একসাথে’ স্লোগান দিয়ে আওয়াজ তুলেছেন তারা। বিজেপির দাবি, যাদবপুরের অচলাবস্থার জন্য দায়ী সিপিএম এবং তৃণমূল।
এদিনের মিছিল থেকে শুভেন্দু বাম-তৃণমূলের বিরুদ্ধে একযোগে সুর চড়ান। বিজেপি যে যাদবপুর ইস্যুতে ছেড়ে কথা বলতে নারাজ, তা আরও একবার বুঝিয়েছেন তিনি । সাফ বলেন, “আমরা শুধু আজ কর্মসূচি নিচ্ছি এমনটা নয়। ১৬ তারিখে যাদবপুরে নাগরিক কনভেনশন করব। উচ্চমাধ্যমিক শেষ হলে বাইরে কাজ করব। লাগাতার জনজাগরণ করব। এই মাকুদের রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে উপড়ে ফেলার কাজ ভারতীয় জনতা পার্টি করবে।”
অন্যদিকে এদিনের মিছিল থেকে ব্রাত্য বসু ও ওমপ্রকাশ মিশ্রদের গ্রেফতারের দাবিও ওঠে। পোস্টার নিয়ে আসেন বিজেপি কর্মীরা। প্রসঙ্গত, শুরুতে যে রুটে বিজেপি মিছিল করতে চেয়েছিল তা করতে পারেনি। বিজেপির দাবি ছিল, যাদবপুরের ওই এলাকায় মিছিলের অনুমতি দিচ্ছিল না পুলিশ। পুলিশের অনুমতি না মেলায় আদালতের অনুমতিতে শেষ পর্যন্ত এই মিছিল করেছে বিজেপি। আদালতের নির্দেশিকা অনুযায়ী, বেলা এগারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত সাড়ে সাতশো সমর্থক নিয়ে এই মিছিল করতে পারবে বিজেপি। বিজেপির দাবি, তাঁরা আদালতের যাবতীয় নির্দেশিকা মেনেই এই মিছিল করছেন। প্রসঙ্গত, বিজেপির এই মিছিল মামলা কলকাতা হাইকে উঠতেই ১৩ তারিখ পর্যন্ত যাদবপুর চত্বরে সমস্ত রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে সাফ ‘না’ করে দিয়েছেন বিচারপতি।