মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি হিন্দুপ্রেমী? নাকি ভোটের সময় নাটক? বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জোরালো বক্তব্য আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিন্দু বিরোধিতার প্রধান সমন্বয়ক হিসাবে মানুষের কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় জবাবী ভাষণে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অভিযোগ করা হচ্ছে আমার সঙ্গে নাকি জঙ্গির যোগ আছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানাবো।’ বিরোধীরা রাজনৈতিক স্বার্থে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কুৎসা রটানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরীর চেষ্টা চলছে বিভিন্ন মহল থেকে। সীমান্তের ওপারে যখন আগুন জ্বলছে তখন এপারেও আগুন জ্বালানোর চেষ্টা চলছে। প্ররোচনা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে নানা মহল থেকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আছি বলে ‘বাংলা’ বাংলাদেশ হয়ে যায়নি ‘।
তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু বিরোধী ,জেহাদী মুসলিমদের সাহায্যকারিণী হিসাবে বক্তব্য দিয়ে ঝড় তুলেছেন।তিনি বলেন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে নিজেকে হিন্দু প্রমাণের চেষ্টা করছেন মমতা । কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ? মনে করিয়ে দিই, তার প্রশাসন কীভাবে হিন্দুদের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে:
- আরও পড়ুন —মমতার সাথে জেহাদী মুসলিম যোগ ! শুভেন্দুর বিস্ফোরক দাবীতে কি ফেঁসে গেলেন মমতা ব্যানার্জী !
হিন্দু উৎসবের ওপর বাধা:
- মহররমের কারণে দুর্গাপুজোর বিসর্জন বন্ধ করেছিলেন, যা হাইকোর্টের নির্দেশে বদলাতে বাধ্য হন।
- সরস্বতী পুজো বিভিন্ন স্কুলে বন্ধ, কিন্তু মাদ্রাসায় ইসলামী শিক্ষা চলছে।
- রামনবমী, অস্ত্রপূজা, শ্রীরামচন্দ্র পুজোর অনুমতির জন্য হাইকোর্টে যেতে হয়!
- রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিন এবং পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল এবং সেখানেও প্রশাসনের অসহযোগিতা দেখা যায়।
মুসলিমদের জন্য বিশেষ সুবিধা, হিন্দুদের প্রতি বঞ্চনা:
- ইমাম-মোয়াজ্জিনদের সরকারি ভাতা, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সিংহভাগ পুরোহিতদের বঞ্চনা।
- মুসলিমদের জন্য বিশেষ প্রকল্প, কিন্তু দরিদ্র হিন্দুদের জন্য কিছু নেই।
- মুসলমানদের ধর্মীয় সমাবেশ নির্বিঘ্নে হয়, অথচ হিন্দুদের মিছিল বা জমায়েতে পুলিশি বাধা।
- মুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত OBC তৈরি করে প্রশাসন,পুলিশের চাকরীতে বিশেষ সুবিধা, হিন্দু OBC-দের অধিকার কেড়ে নেওয়া।
আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক পক্ষপাত:
- ধুলাগড়, ইসলামপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ, কিন্তু প্রশাসন নীরব।
- সিএএ(CAA) সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা, কিন্তু এনআরসি-বিরোধী দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নয়।
- ইসলামপুরে উর্দু শিক্ষকের নিয়োগের প্রতিবাদে পুলিশের গুলিতে হিন্দু ছাত্রদের মৃত্যু হয়, সেই পুলিশ পরে প্রমোশন পায়!
- অফিসে মুসলিমদের নামাজের ব্যবস্থা, কিন্তু হিন্দুদের পুজোর জন্য কোনো অনুমতি নেই।
- কোনো মুসলিম এক ঘন্টায় জামিন পেয়ে যায়,সে ক্ষেত্রে অন্যান্য ধর্মালম্বীরা মাসের পর মাস জামিন না পেয়ে জেলে থাকে।
মুখ্যমন্ত্রীর ধর্মীয় পক্ষপাত:
- “আমি কাফের নই” বলে নিজেকে মুসলিম প্রমাণ করেছেন।
- “জয় শ্রীরাম” বললেই মামলা হয়, গ্রেপ্তার করা হয়।
- কুম্ভ মেলাকে “মৃত্যু কুম্ভ” বলে হিন্দু ধর্মকে অপমান করেছেন।
- ঈদের জন্য ছুটি বাড়ানো হয়, কিন্তু হিন্দু উৎসবের ছুটি কমানো হয়।
বাংলাদেশী মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়দাতা তৃণমূল কংগ্রেস
- রোহিঙ্গাদের অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশের সহায়তা করা।
- মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের স্থানীয় তৃণমূলের নেতাদের মাধ্যমে ভুয়ো কার্ড তৈরী করে দেয়া।
- বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু শরণার্থীদেরকে পুলিশের মাধ্যমে হেনস্থা করে জেলে ভরা।
- বাংলাদেশ থেকে মুসলিম অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়ে সারা ভারতে সাপ্লাই দেয়া।
