নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভা থেকে তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুয়ো ভোটার ধরতে কমিটি গঠন করেছেন। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশ পাওয়ার পরেই, শুক্রবার জেলায় জেলায় ভুয়ো ভোটার ধরতে একের পর এক বৈঠক শুরু করেছেন জেলার নেতারা। ভুয়ো ভোটার ধরার নামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা শুরু করেছে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা।
যেমন এই ভুয়ো ভোটার ধরার কাজে সবার আগে ময়দানে নামলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের চেতলা এলাকায় বাড়িতে বাড়িতে ভোটার তালিকা নিয়ে গিয়ে ভোটারদের নামধাম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি। অথচ তার নিজের বিধানসভা এলাকায় সবচেয়ে বেশি অবৈধ বাংলাদেশী মুসলিম ভুয়া ভোটার রয়েছে।অথচ এই তৃণমূল কংগ্রেস CAA এর বিরোধিতা করে “কাগজ দেখাবো না” স্লোগান তুলে মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের সাথে সঙ্গ দিয়েছিলো।
ফিরহাদ বলেন, “ভোটার পরীক্ষা (স্ক্রুটিনি) করে আমাদের প্রত্যেকটা বুথে সেই বিধানসভা নম্বর, পার্ট নম্বর, বুথ নম্বর দিয়ে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে, কাকে পাওয়া গিয়েছে আর কাকে পাওয়া যায়নি। সেই অনুযায়ী দল যদি দেখে যে নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি ভুয়ো ভোটার আছে, তা হলে তা নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে।”
খবর অনুসারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নির্দেশে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা ভোটার লিস্ট ধরে খোঁজ নিতে মানুষের বাড়ি যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে মানুষের ভোটার কার্ড চেয়ে নিয়ে সেটা ভোটার লিস্ট এর সাথে পরীক্ষা করছে। যা একজন মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে তীব্র ভাবে খর্ব করে।কারণ তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনের নিয়োগকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। একজন মানুষের ভোটার কার্ড আছে কি না বা কোনো এলাকায় ভোটার বসবাস করেন অথচ তিনি ভোট দেন তার স্থায়ী ঠিকানার বুথে বা কোনো ভোটার হয়তো রাজ্যের বাইরে থাকেন,ভোট দেয়ার সময় তিনি আসেন,এ রকম বিবিধ কারণ থাকতে পারে ভোটারদের।কিন্তু ভোটার লিস্ট পরীক্ষা করার নাম করে ভোটারদের বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানো বা ভোটাররের তথ্য নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানানো,যা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। এই এক্তিয়ার বহিৰ্ভূত কাজ তৃণমূল কংগ্রেস করছে তাদের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নির্দেশে ।
এমনকি কি কোথাও কোথাও থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে ভোটার তালিকার সাথে যদি কোনো গরমিল পাওয়া যায়,বা ভোটার যদি অনুপস্থিত থাকে তার বাড়িতে, তাহলে ভোটারকে ভয় দেখিয়ে টাকা চাওয়া হচ্ছে। আর যদি টাকা না দেয়া হয় তাহলে ভোটারদের নাম নির্বাচন কমিশনে গিয়ে নালিশ করে অবৈধ করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ভোটার তালিকা পরীক্ষা (স্ক্রুটিনি) করে প্রত্যেকটা বুথে সেই বিধানসভা নম্বর, পার্ট নম্বর, বুথ নম্বর দিয়ে নির্দিষ্ট করে দেওয়া , কাকে পাওয়া গিয়েছে আর, কাকে পাওয়া যায়নি,এ দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে বর্তায় নির্বাচন কমিশনের ওপর । কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস যা করছে তা মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারকে খর্ব করছে।