দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে বুধবার বিকেলে দিলীপ ঘোষ তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছান। শুধু তাই নয়, সেখানে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ-রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। পাশাপাশি, দিলীপ ঘোষ তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন কিনা, তা নিয়েও শুরু হয় আলোচনা।
ঠিক এই পরিস্থিতিতে একটি বড় খবর সামনে এসেছে। সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে, আগামী ২১ জুলাই দিলীপ ঘোষ তৃণমূল শিবিরে যোগদান করতে পারেন। পাশাপাশি, তাঁর স্ত্রী রিঙ্কুও ঘাসফুল শিবিরে যুক্ত হতে পারেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রিঙ্কু তৃণমূলের মহিলা কমিটিতেও স্থান লাভ করতে পারেন।
এদিকে সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষের মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাত বিষয়টি বিজেপির নেতৃত্ব মহল ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। শুধু তাই নয়, বিজেপি নেতীপ ঘোষের তীব্রা সমালোচনা করেছেন।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি নাম উল্লেখ না করেই বলেছেন, “কে কী করবেন, কী বলবেন, বা কী বলবেন না, সেই বিষয়ে আমি উত্তর দেব না। আমি দলের একজন সুশৃঙ্খল কর্মী,দলের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। ”
পাশাপাশি, তীব্র কটাক্ষের সুরে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, “একজন ‘ত্যাগী’ থেকে কিভাবে ‘ভোগী’ হতে হয় তার আদর্শ উদাহরণ আপনি দিলীপবাবু ।” শুধু তাই নয়, সৌমিত্র দিলীপ ঘোষকে “বাংলা বিজেপির লজ্জা” হিসেবে অভিহিত করেছেন। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণ্যোতি একটি পোস্টের মাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন। যেখানে তিনি দিলীপ ঘোষের উদ্দেশ্যে এটাও মন্তব্য করেন যে “ভবিষ্যতে যদি আপনি মমতার সহযোদ্ধা হিসেবে তাঁর পাশে দাঁড়ান তাহলেও আজকের পর আর অবাক হব না।”
- আরও পড়ুন — অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী মুসলিমদের ধরপাকড়ের পাশাপাশি বাড়ি ভাঙা শুরু করলো গুজরাটের প্রশাসন !
তবে, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে শাসকদলের ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পাওয়ার পরই তৃণমূলে তাঁর যোগদানের সম্ভাবনায় তৃণমূলের একাংশ অসন্তুষ্ট হতে পারেন বলে সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে। কারণ রাজনীতির ময়দানে বিরোধী দলে থেকে বারবার মমতা ব্যানার্জিকে নোংরা বাক্যবাণে আক্রমণ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। কখনও তিনি মমতাকে “মেয়েছেলে” বলেছেন,কখনো বারমুডা পরতে বলেছেন, আবার কখনও তৃণমূল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে “হুমকি” দিয়ে জানিয়েছিলেন, “আমাদের চোখ দেখালে, ছ’ফুট নিচে পাঠাব নাহলে ছ’ফুট উপর থেকে নামিয়ে দেব।” যদিও এবার, এই বিতর্কিত মন্তব্যগুলি দূরে সরিয়ে রেখেই রাজনীতির ময়দানে সম্ভবত নতুন চমক আনতে পারেন দিলীপ। সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, ২১ জুলাই মমতা এবং অভিষেকের উপস্থিতিতেই ঘাসফুল শিবিরে সস্ত্রীক যোগদান করতে পারেন দিলীপ ঘোষ। এমতাবস্থায়, দিলীপের রাজনৈতিক গতিপথ কোন দিকে এগোয়, সেটির দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে।