শুধু জনৈক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। জানা যাচ্ছে, সিবিআই (CBI)-এর তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্স’-এর নামও রয়েছে। সিবিআই-এর দাবি, এই কোম্পানির রিসিপশনিস্টের ইমেলে পৌঁছেছিল ১৫৭ জন অযোগ্য চাকরিপ্রীর তালিকা। সেই তালিকা পাঠানো হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাট কাকু’-র ইমেলে।
চার্জশিটের ১৪ নম্বর সিবিআই করেছে ‘লিপ্স এন্ড বাউন্ডস সংস্থার’ নিউ আলিপুরের অফিস এবং বেহালায় বাড়িতে বসেই বেআইনি নিয়োগের ঘুষের টাকা নিতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এজেন্টদের থেকে কবে কত টাকা পেতেন তা আবার ডায়েরিতে লিখে রাখতেন ‘কাকু’, দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির। গোয়েন্দা আধিকারিকরা এও জানতে পেরেছেন, তদন্ত শুরু হতেই সব ডায়েরি নষ্ট করেন ‘কালীঘাটের কাকু’।
‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর রিসেপশনিস্ট সুস্মিতা চক্রবর্তী। চার্জশিটে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, এই মহিলার ইমেলেই পৌঁছেছিল ১৫৭ জন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর তালিকা। সেই তালিকা সুজয়ের ইমেলে পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই মামলা শুরু করতেই তিনি ইমেল আইডি ডিলিট করেন। নিজের ছাড়াও সুজয় ঘনিষ্ঠ নিখিল হাতির ইমেল আইডি ডিলিট করান কাকু। অন্য দুই এজেন্টের ফোন নষ্ট করা হয়। কিন্তু এতসব কিছুর পরেও সেই তালিকা তদন্তকারীদের হাতে আসে।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির বক্তব্য,মেল আইডি মুছে দেয়ায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, ২০১৪ সালে নিজের এজেন্ট মারফত প্রাথমিকের ১৫৭ জন অযোগ্য প্রার্থ তালিকা ‘কাকু’র কাছে ইমেল করেন অরুণ হাজরা ওরফে ‘চিনু-দা’। এই ১৫৭ জনের মধ্যে ৫১ জন অযোগ্য প্রার্থীর প্রাথমিকে চাকরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অরুণ হাজরার এজেন্টরাও ডায়েরিতে ঘুষের টাকা সংগ্রহের হিসেব দিনক্ষণ উল্লেখ করে লিখে রাখতেন টাকা পাওয়ার পর তাতে সই করতেন চিনুদা। এর ১০টি ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।