চীন বাদে যেসব দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, সেগুলো ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (৯ এপ্রিল) তিনি এ সিদ্ধান্ত। তবে চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বুধবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘চীন বিশ্বের বাজারগুলোর প্রতি সম্মানের যে ঘাটতি দেখিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ নির্ধারণ করছি। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
এ প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আশা করি নিকট ভবিষ্যতে চীন ও অন্যান্য দেশ উপলব্ধি করতে পারবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রতারণার দিন আর থাকবে না এবং তা আর গ্রহণযোগ্য হবে না।’
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আসল অবস্থা বিবেচনা করে বিশ্বের প্রায় ৭৫টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এসব প্রতিনিধির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য , অর্থ এবং বাণিজ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ করেছে । দেশগুলো বাণিজ্য, বাণিজ্য বাধা, শুল্ক, মুদ্রা বিনিময় হার এবং অশুল্ক বাধা সংক্রান্ত বিষয়গুলো সমাধান করতে আলোচনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন ব্যতীত প্রতিটি দেশের উপর বিশ্বব্যাপী শুল্ক প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত সেই দেশগুলোকে পুরস্কৃত করেছে যারা বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে প্রতিশোধ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ৯০ দিনের বিরতির মধ্যে নতুন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য সময় থাকবে। বেসেন্ট আরও বলেন, কানাডা এবং মেক্সিকোসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা করতে চায় এমন দেশগুলির ওপর শুল্ক হার ১০ শতাংশে নেমে আসবে। তার কথায়, “বিশ্বের প্রতিটি দেশ যারা এসে আলোচনা করতে চায়, আমরা তাদের কথা শুনতে ইচ্ছুক।”