যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে ভারতীয় বংশোদ্ভুত পল কাপুরকে মনোনয়ন দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এই মনোনয়নে এখনো সেনেটের অনুমোদন বাকি রয়েছে।বুধবার সেনেটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলের কারণে পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে ডোনাল্ড লু কে। তিনি জো বাইডেনের সময় নিয়োগ পেয়েছিলেন।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি এবং আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান,কাজাখস্তান, কিরগস্তান, মালদ্বীপ , নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা,তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে।
পল কাপুর ভারত এবং পাকিস্তান বিষয়ক একজন বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। তিনি মার্কিন নৌবাহিনীর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন এবং স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির হুভার ইনস্টিটিউটে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পলিসি পরিকল্পনা বিভাগে যুক্ত ছিলেন।

তিনি যেসব বই লিখেছেন তার মধ্যে রয়েছে–– ‘জিহাদ অ্যাজ গ্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি : ইসলামিস্ট মিলিট্যান্সি, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড দ্য পাকিস্তানি স্টেট’, ‘ডেঞ্জারাস ডিটারেন্ট: নিউক্লিয়ার উইন্স প্রলিফারেশন অ্যান্ড কনফ্লিক্ট সাউথ এশিয়া।
সহ-লেখক হিসেবে লিখেছেন ‘ইন্ডিয়া, পাকিস্তান অ্যান্ড দ্য বোম্ব: ডিবেটিং নিউক্লিয়ার স্ট্যাবিলিটি ইন সাউথ এশিয়া’।
ট্রাম্প তার প্রশাসনে বেশ কয়েকজন ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি কাশ প্যাটেলকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআয়ের ডিরেক্টর এবং শ্রী রাম কৃষ্ণান হোয়াইট হাউসের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ে নীতি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেছেন। এবার পল কাপুরকে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে নিয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনে ভারতীয় প্রভাব প্রমাণিত হলো।
2 Comments
Pingback: সত্যেন্দ্রনাথ বসু, জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মতো অমুসলিম বাঙালি কৃতীদের নাম মোছা
Pingback: বাংলাদেশ নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব মোদীর,আর সেটাতে আমার পূর্ণ সমর্থন আছে!ঘোষণা ট্