এ কী কাণ্ড পাকিস্তানে ,ভারতের শত্রুদের খুঁজে খুঁজে মারছে, মাথা হেলমেটে ঢাকা বাইকে করে এলো, উড়িয়ে দিল জঙ্গির খোপড়ি। ভারতের শত্রুরা হচ্ছে নিধন, কে করছে, কেন করছে তাও আবার পাকিস্তানে মাটিতেই কেউ বুঝতেই পারছে না। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জঙ্গি সংগঠনের হেভিওয়েটদের মধ্যে।
পাকিস্তানে ভারতের শত্রুদের নির্মূল অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাকিস্তানে অজ্ঞাত মোটরসাইকেল চালকদের তাণ্ডব এখনো থামেনি। এখন খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াবি জেলায়, মোটরসাইকেল আরোহী এক অজ্ঞাত বন্দুকধারী একের পর এক হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে। এবার অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীর নিশানা সন্ত্রাসবাদী মাওলানা কাশিফ আলি।
সে কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার। বাইক আরোহী অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকারীরা মওলানা কাশিফ আলিকে গুলি করে হত্যা করেছে।
সন্ত্রাসবাদী কাশিফ আলি যুবকদের মগজোলাই করত এবং তাদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে নিয়োগ করত। কাশিফ আলি অনেক মসজিদ-মাদ্রাসার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি পাকিস্তানি যুবকদের প্রতারণা করতেন এবং সন্ত্রাসবাদের পাঠ শিখিয়ে সন্ত্রাসী সংগঠনে নিয়োগ করতেন। এ ছাড়া তিনি সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জিহাদি বক্তৃতাও দিতেন। কাশিফ আলি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্করের রাজনৈতিক সংগঠন PMML-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
পাকিস্তানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সন্ত্রাসবাদী কাশিফ আলি হত্যার পর। সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত অনেক সংগঠন পাকিস্তান সরকারের কঠোর সমালোচনা করে এবং কাশিফ আলির হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানায়। শুধু তাই নয়, তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান সরকারের কাছে কাশিফ আলির খুনিদের যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতারের আবেদন জানিয়েছে। একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, কাশিফ আলির একমাত্র দোষ ছিল যে তিনি পাকিস্তানকে ভালোবাসতেন।
গত এক মাসে চতুর্থ সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু ঘটেছে। রহস্যজনক পরিস্থিতিতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনায় সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার তিনজন সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায় হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এক মাসে চতুর্থ শিকার হলেন কাশিফ আলি।
কাশিফ আলিকে হত্যার পর সন্ত্রাসী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে পুনরায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এবার তাদের সমস্ত ক্ষোভ পাকিস্তান সরকার, তার গোয়েন্দা সংস্থা এবং ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের ওপর। এ কারণেই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কাশিফ আলিকে নিয়ে খোলামেলা মন্তব্যও সামনে আসছে।