গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে পর্যটকদের উপর নির্বিচার গুলি চালানোর ঘটনার পর পাকিস্তানকে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ভারত ।
এর পর যুদ্ধ করবে কি, আতঙ্কে রয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। পাক সেনায় গণ ইস্তফার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর মনোবল একেবারে নিচে নেমে গেছে। কেউ আর সেনাবাহিনীতে কাজ করতে আগ্রহ নন। সেনা প্রধানকে চিঠি দিয়ে গণ ইস্তফার বিষয়টি জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ বুখারি।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ৪৮ ঘণ্টায় অন্তত ২৫০ জন সেনা অফিসার পদত্যাগ করেছেন। এছাড়াও প্রায় ১২০০ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্য পদত্যাগ করেছেন।

পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর পাক সেনাবাহিনীতে ইস্তফার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, প্রধানত সিন্ধু ও নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ারে বহু সেনা সদস্য ইস্তফা দিয়েছেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তারাও ইস্তফা দিচ্ছেন। ইস্তফার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে অসুস্থতা ও মানসিক চাপ।
পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ডিজি আইএসপিআর মেজর জেনারেল পাক সেনাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে কোনও অবস্থাতেই ইস্তফা দেওয়া যাবে না। যদি কেউ ইস্তফা দেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গণইস্তফার পর সীমান্ত রক্ষা করবে কে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। শুধু জওয়ানাই নয়, তাদের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অফিসাররাও গণইস্তফা দিচ্ছেন। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ হলে, তা পরিচালনার দায়িত্ব কে নেবে, তা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে পাক সেনা।
এক মাস আগে পাকিস্তানি সেনার জুনিয়র অফিসার ও সেনারা চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে আসিম মুনিরের নেতৃত্ব তাঁদের পছন্দ নয়। তাঁকে পদ থেকে অপসারণ না করলে বিদ্রোহ শুরু হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এবার পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর, যেখানে দুই দেশের মধ্যে কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানেই পাক সেনার গণইস্তফা একদিকে উদ্বেগ, অন্যদিকে বিড়ম্বনায় ফেলেছে।
প্রসঙ্গত গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় পর্যন মরশুমের মধ্যে জঙ্গি হামলা ঘটে। জঙ্গা সেনা-জওয়ানের পোশাক পরে পর্য নাম-পরিচয়িজ্ঞাসা করে গুলি চালায়। এই ঘটনায় ২৫ জনীয় এবং একজন নেপালি পর্যটকের মৃত্যু হয়। বৈসরন উপত্যকায় পৌঁছানোর রাস্তা দুর্গম হওয়ায় পাহাড়ের নিচ থেকে নিরাপত্তাকর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সময় লাগে। এর মধ্যে জঙ্গিরা হত্যালীলা চালিয়ে পালিয়ে যায়।