বহু আইনি বাধা কাটিয়ে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে ‘উদয়পুর ফাইলস’। তবে মুক্তির পরও ছবির সমস্যাগুলো শেষ হয়নি। এবার ছবির প্রযোজক অমিত জানি প্রাণহানির হুমকি পাচ্ছেন। শুক্রবার, ৮ আগস্ট দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর দিল্লি হাই কোর্টের অনুমতি মেলায় এই ছবিটি মুক্তি পায়। কিন্তু মুক্তির পর আবারও নতুন জটিলতার মধ্যে পড়েছে এই ছবি।
শনিবার ছবির প্রযোজক এক্স হ্যান্ডলে ঘটনাটি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, বিহারের তাবরেজ নামের একজন ব্যক্তি তাঁকে ফোনে খুনের হুমকি দিচ্ছে। এমনকি গুলি করা এবং বাড়িতে বোমা ফেলার ভয় দেখানো হচ্ছে। অমিত এই পরিস্থিতির কথা উত্তরপ্রদেশের সরকার ও পুলিশকে ট্যাগ করে পোস্টে জানান। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, দর্জি কানাহাইয়া লালের জীবনকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই ছবি মুক্তির পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা মুগ্ধ হয়েছেন। ছবিটি মুক্তির পর তাঁর দুই ছেলেকে উদয়পুরের সিনেমাহলে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বাবার জীবন নিয়ে এমন একটি ছবি দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তাঁর দুই ছেলে এবং তাঁরা রীতিমতো আপ্লুত। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে তাঁরা সকলকে এই ছবি দেখার অনুরোধ জানান। এরই মধ্যে ঘটে যায় এক আকস্মিক ও অনভিপ্রেত ঘটনা।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে এই ছবি মূলত ২০২২ সালে রাজস্থানের উদয়পুরে নির্মমভাবে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছিল, যার নাম ছিল কানহাইয়া লাল। তিনি পেশায় একজন দর্জি ছিলেন। তাঁকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে এই ছবি। কেন হত্যা করা হয়েছিল কানহাইয়া লালকে? প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার একটি বিতর্কিত মন্তব্যের পোস্ট শেয়ার করেছিলেন তিনি, যার ফলে তাঁর উপর আক্রমণ হয় এবং তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।