শপথ গ্রহণের পর থেকেই একের পর কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশে USAID প্রকল্পের আওতাধীন কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং এই নির্দেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।এতদিন পিছিয়ে পড়া দেশ হিসেবে আমেরিকার উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড থেকে যে সাহায্য বাংলাদেশ পেত তা বন্ধ হল। শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই কথা জানিয়েছে।
দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসের কুর্সিতে বসেই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনায় স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। শনিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে মার্কিন সরকার জানিয়ে দিল যে ইউএসএইড বাংলাদেশে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি প্রকল্প বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউনূসের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক মধুর নয়, এই সিদ্ধান্তে তা আবারও স্পষ্ট হয়ে গেল। যদিও ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর গত বছর তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে ছিলেন ইউনূস। লিখেছিলেন, ট্রাম্পের আমলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে তাঁর আশা। কিন্তু সে আশায় কার্যত জল ঢেলে দিল আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে দিল আমেরিকা।
গত ৫০ ধরে জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা-সহ বিভিন্ন খাতে আর্থিক সাহায্য করে আসছিল আমেরিকা। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা সাহায্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার সেই সাহায্য বন্ধ করল ট্রাম্প প্রশাসন। প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর মুহাম্মদ ইউনূসের চাপ আরও বাড়ল।
গত ২৪ জানুয়ারি ইসরায়েল এবং মিশর ছাড়া সব দেশের জন্যই আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা। পররাষ্ট্রিব মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, নতুন করে সাহায্যের বিষয়গুলি অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে এবং আগামী ৮৫ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে পর্যালোচনা করা। তার পরই সিদ্ধান্ত নেবে ট্রাম্প প্রশাসন। মনে করা হচ্ছে, নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প আমেরিকা ফার্স্ট নীতির ফলস্বরূপ এই সিদ্ধান্ত।
- আরও পড়ুন – ঢাকায় আইএসআই প্রধান, ‘নিরাপত্তার স্বার্থে কড়া পদক্ষেপ নেয়া হবে’,বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি দিল্লির!
আমেরিকার পূর্বতন ডেমোক্র্যাট সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন নোবেলজয়ী ইউনূস। সেই ইউনূসের সরকারের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে প্রশ্ন তুলেছিলেন ট্রাম্প। এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশে চরম বিশঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যেভাবে হিন্দু -খ্রিস্টান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুরা হিংসার শিকার হচ্ছেন, তাঁদের উপর হামলা হচ্ছে, তার আমি তীব্র নিন্দা করছি। আমরা আমেরিকায় বসবাসকারী হিন্দুদের কট্টরবাদ,ধর্ম বিরোধী বামপন্থার হাত থেকে রক্ষা করব।
ইউনূস প্রশাসনের সমালোচনা করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশকে ‘ভাতে মারার’ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।